ন্যাভিগেশন মেনু

প্রত্যাবাসনের নিয়ে রোহিঙ্গাদের মতামত


আগামী ২২ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার কথা থাকলেও তা যথা সময়ে শুরু করা যাবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। তবুও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

রোহিঙ্গারা রাখাইনে ফিরতে চান কিনা এ বিষয় নিয়ে আজ (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রোহিঙ্গাদের পরিবার ভিত্তিক মতামত নেওয়ার প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে আর শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসনের কার্যালয় ও জাতীসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা যৌথভাবে কাজটি করছে।

কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম জানান, প্রত্যাবাসনের জন্য তিন হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে, এদের ৯০ ভাগ বসবাস করেন টেকনাফের ২৬ নম্বর ক্যাম্পে। এছাড়া বাকিরা থাকেন ২৭ ও ২৪ নম্বর ক্যাম্পে। এদের মধ্যে অল্পসংখ্যক রোহিঙ্গা আছেন নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে। এই সবকটি ক্যাম্প কাছাকাছি হওয়ায় যাতায়াতের সুবিধার্থে ২৭ নম্বর ক্যাম্পের সিআইসি কার্যালয়ের পাশেই সাক্ষাতকার নেওয়ার স্থান ঠিক করা হয়েছে। এখানেই সকাল থেকে সাক্ষাতকার নেওয়ার কাজ চলছে এবং তা সম্পন্ন করা হবে দুই পর্বে। প্রথম পর্যায়ে পরিবার প্রধানের সাক্ষাতকার নেওয়া হবে। তিনি যদি যেতে সম্মত হন তাহলে যাওয়ার আগে আবার পরিবারের সব সদস্যর সম্মতি নেওয়া হবে।

আবুল কালাম আরও জানান, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি অনুযায়ী দিনে সর্বোচ্চ ৩০০ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো যাবে। তিনি বলেন, তালিকায় থাকা ৩ হাজার ৪৫০ জনের সবাই যদি যেতে সম্মত হন, তাহলে সময়সূচি ঠিক করে পর্যায়ক্রমে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। তবে সরকারের সিদ্ধান্ত রোহিঙ্গাদের জোর করে পাঠানো হবে না। হবে। অন্যদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য দুটি ট্রানজিট ক্যাম্প প্রস্তুত, রাস্তা-ঘাট তৈরি, নিরাপত্তা জোরদারসহ সব ধরনের ভৌত প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশে দুটি ট্রানজিট পয়েন্ট প্রস্তুত থাকলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে শুধু বান্দরবানের ঘুমধুমের স্থলপথেই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হবে। আপাতত দিনে ১৫০ জন রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

 সিবি