ন্যাভিগেশন মেনু

প্রথমবারের মতো করোনার পূর্ণাঙ্গ জিনচক্র আবিষ্কার


প্রথমবারের মতো দুবাইয়ের বিজ্ঞানীরা নভেল করোনা বা সার্স-কভ-২ ভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনচক্র আবিষ্কার করেছেন। এক ট্যুুইটে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই মিডিয়া অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি দুবাইয়ের মোহাম্মদ বিন রশিদ মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ সায়েন্সেসের (এমবিআরইউ) গবেষকরা এক রোগীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তার থেকে করোনাভাইরাস আলাদা করার পর এর সম্পূর্ণ জিনচক্র তৈরি করেছে।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে এমবিআরইউ উপাচার্য ও দুবাই কভিড-১৯ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের প্রধান আমির শরিফ বলেন, এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে কৌশল এবং ক্রিয়াগুলো অবহিত করার জন্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দিতে পেরে আমরা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছি।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রমবর্ধমান এ রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এ ভাইরাসের জিনচক্র সম্পর্কে জানা একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হতে পারে। কভিড-১৯ বা সার্স-কভ-২ নামে এ ভাইরাসটির জিনে অন্তত ৩ হাজার বেস বা লেটার রয়েছে। অনেক দেশই রোগীর নমুনা থেকে ভাইরাসটির জিনোমিক সিকোয়েন্সগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছে। কোনো ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এর জিনগত উপাদানগুলোয় ছোট ছোট পরিবর্তন আসে। আর এটি পরীক্ষা করে বোঝা যায় ভাইরাসটির জিনের রহস্য।

এমবিআরইউর প্রভোস্ট, ইমেরিটাস সায়েন্টিস্ট কাউন্সিলের সদস্য এবং দেশটির কভিড-১৯ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান অধ্যাপক আলাবি আল শেখ আলি বলেন, করোনার জিনচক্র আবিষ্কার রোগটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের সক্ষমতার কথা জানান দেয়। যা এক বৃহত্তর অধ্যয়নের গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ। এখন আমাদের লক্ষ্য এ মহামারি শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে আক্রান্ত হওয়ার বিভিন্ন বয়সের অন্তত ২৪০ রোগীর কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা। আমরা রোগীর মধ্যে রোগের তীব্রতার তথ্যও সংগ্রহ করব, যা ভাইরাসটির বিভিন্ন অন্য প্রজাতি অন্যান্য রোগের তীব্রতার সঙ্গে যুক্ত কিনা, তা আমাদের বুঝতে সহায়তা করবে।

ওআ/ এডিবি