ন্যাভিগেশন মেনু

প্রথম আলোকে বয়কট করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


গত বছর ২৬ শে মার্চে  প্রথম আলোতে প্রকাশিত  “মাছ,মাংস ও চাইলের স্বাধীনতা লাগবে” শিরোনামে নিউজটি ফ্যাক্ট চেক করে ভুয়া প্রমাণিত হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রথম আলোকে বয়কট করেছে। 

এর ফলে, গত ২৭ই মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত  ঢাবির ১৮টি হলের মধ্যে ১টি ব্যতিরেকে আর কোন হলে প্রথম আলো পত্রিকা কিনে না।

এ নিয়ে জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর, জিয়া হল ও বঙ্গবন্ধু হলের পত্রিকার দায়িত্বরত আরিফের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি  বলেন,“আমার দায়িত্বে তিন হলের বিজয় একাত্তর হল, জিয়া হল আর বঙ্গবন্ধু হল।  একবছর আগে একটা ঝামেলা হয়েছিলো। তখন হল অফিস থেকে ফোন দিয়ে প্রথম আলো আর না দিতে বলেছে। এরপর থেকে আর প্রথম আলে কোন হলেই দেই না। তবে শিক্ষার্থীরা সবসময় নিয়েছে। ঐ ঝামেলার শুরুর দিকে ছাত্র নেতারাও প্রথম আলো বন্ধ করেছে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পর তারা আবার কেনা শুরু করেছে”।

এ বিষয়ে রুহুল আমিন বলেন, আমি উপাচার্য স্যারের বাসভবন, জনসংযোগ দপ্তর আর কবি জসিমউদদীন হলে পত্রিকা সরবরাহ করি। কোথাও প্রথম আলো পত্রিকা নেওয়া হয় না। ঐ ঘটনার পর থেকে সব জায়গায় প্রথম আলো পত্রিকা নেওয়া বন্ধ করেছে। এরপর আর চালু করেনি। শুধু এখানেই না, আমার জানা মতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, পাবলিক লাইব্রেরিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হলের পত্রিকা রুমে প্রথম আলো ঐ ঘটনার পর থেকে বন্ধ আছে।

তিনি আরও বলেন, জনসংযোগ দপ্তরে ত্রিশটা পত্রিকার ফাইল পাঠাতাম। ঐ ঘটনার পর থেকে প্রথম আলো দেওয়া বন্ধ রাখতে বললে আমরা বন্ধ রাখি। আখতারুজ্জামান স্যার উপাচার্য থাকাকালীন উনার বাসায় পাঁচটা পত্রিকা নিতেন। স্বাধীনতা দিবসের ঘটনার পর থেকে তিনি প্রথম আলো দেওয়া বন্ধ করতে বলেন। এখন নতুন উপাচার্য স্যার এসেছেন। কিন্তু ঐ সিদ্ধান্ত আর পরিবর্তন হয়নি। এখনও প্রথম আলো যায় না উপাচার্য স্যারের বাসভবনে”।

কতদিন থেকে প্রথম আলো পত্রিকা নেয়া বন্ধ হয়েছে সে প্রসঙ্গে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মামুন বলেন, ”স্যার নিষেধ করলে নেওয়া হবে কীভাবে? কতদিন বন্ধ সেটা আপনি পত্রিকা যিনি দেয় রফিক উনার সাথে কথা বলেন”।

প্রথম আলো পত্রিকা কেনা হওয়ার কারণ জানতে ভারপ্রাপ্ত ভিসি ড.শীতেষ চন্দ্র বাছারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,“ এ বিষয় সম্পর্কে আমি জানি না”।