ন্যাভিগেশন মেনু

প্রথা মেনে রাজস্থানের গ্রামের বাসিন্দারা লিভ-ইনে থাকেন


দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই- দেশের বড় বড় মেট্রো শহর কিংবা ছোট শহর এবং তার সংলগ্ন এলাকায় লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা আর বড় কোনও ঘটনা নয়। এজন্য আর পাড়া-প্রতিবেশিরা ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকেন না। হাজার রকম প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয় না। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক হয়েছে সমাজ।

কিন্তু গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে আজও ছবিটা ভিন্ন। সেখানে এখনও একজন ছেলে-মেয়েকে একসঙ্গে ঘুরতে দেখলেও অনেকেই বাঁকা চোখে তাকান। কিন্তু জানেন কী ভারতে এমন একটি উপজাতি রয়েছে, যাঁদের মধ্যে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা এমন কোনও বড় ব্যাপার নয়। খোদ পরিবারের লোকেরাই তাতে সম্মতিও দেন। এমনকী সঙ্গী খুঁজতে বসে মেলার আসরও। শুনতে অবাক লাগলেও রাজস্থানের গারাসিয়া উপজাতির মধ্যে এমনই কিন্তু নিয়ম রয়েছে।

এই গারাসিয়া উপজাতি মূলত রাজস্থান এবং গুজরাটের কিছু অংশেই দেখতে পাওয়া যায়। রাজস্থানের পালি, সিরোহী, উদয়পুর ও দুঙ্গারপুর জেলা এবং গুজরাটের সবরকণ্ঠ এবং বনশকণ্ঠ জেলায় এই উপজাতিদের বসবাস। তাঁদের মধ্যেই ছেলে-মেয়ের এইভাবে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার নিয়ম রয়েছে। গত ১০০০ বছর ধরে তাঁদের মধ্যে এই রীতি চলে আসছে। এই রীতি অনুযায়ী, বিয়ে ছাড়াই যুগলরা একসঙ্গে থাকতে পারেন।

এই উপজাতির এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা বিয়েতে বিশ্বাসী নন। অর্থাৎ বিয়ে করতে চান না। তবে তাঁরা চাইলেই বিয়ে না করে সঙ্গীর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে যেতেই পারেন। তবে এক্ষেত্রে তাঁদের যদি কোনও সন্তান জন্মায়, সেক্ষেত্রে দুজনকেই ওই সন্তানের দায়িত্ব নিতে হবে। এখানেই শেষ নয়, সঙ্গী খুঁজতে বিশেষ মেলাও বসে। সেখান থেকেই নিজের পছন্দমতো সঙ্গী খুঁজে নিয়ে পালিয়ে যাওয়াই রীতি ওই উপজাতির মধ্যে।

পরবর্তীতে তাঁরা লিভ-ইন পার্টনার হিসেবেই গ্রামে ফিরে আসেন। তবে কিছু শর্তও রয়েছে। লিভ-ইন সম্পর্ক শুরু হওয়ার আগে মেয়ের বাড়ির লোককে ছেলের বাড়ির দাবি মেনে কিছু টাকাও দিতে হয়। যদিও পরবর্তীতে ওই যুগল বিয়ে করতে চাইলে, সেক্ষেত্রে আবার ছেলের পরিবারকেই সমস্ত খরচ বইতে হবে।

এস এস