ন্যাভিগেশন মেনু

প্রধানমন্ত্রীর কাছে শতবর্ষী মাকে নিয়ে থাকতে ঘর চাইলেন ৮০ বছরের বৃদ্ধা


বরিশালের আগৈলঝড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের ছোট একটি ভাঙ্গা ঘরে বসত করেন জীবন যুদ্ধে হার না মানা এক সাহসী নারী লক্ষ্মী রানী।

যার সংসারের ৬ জনের মুখে দু'মুঠো খাবার তুলে দেওয়ার জন্য সকাল হতেই তার ব্যবসার ডালায় বাদাম, চানাচুর, চকলেট ইত্যাদি সাজিয়ে মাথায় নিয়ে গ্রামে গ্রামে পায়ে হেঁটে ফেরি করে লক্ষ্মী রানী।

আর ফেরি করে বাদাম বিক্রি করে যা লাভ হয় সেই টাকা দিয়েই খাবার কিনে তার অসুস্থ শতবর্ষী মাসহ নাতি-নাতনীদের মুখে দু'মুঠো খাবার তুলে দেন এই ৮০ বছর বয়সি বৃদ্ধা।

লক্ষ্মী রানীর ঘরের অবস্থা এতোটাই খারাপ যে, বৃষ্টি শুরু হলেই শতবর্ষী ময়ের বিছানাটাও ভিজে যায়। সরকার ঘর দিচ্ছে এমন খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হাতে-পায়ে ধরেও একটি ঘর বরাদ্দ পাননি তিনি।

আর এভাবেই স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে গত ৩৫ বছর ধরে সংসারের ভার কাধে তুলে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

এই ৮০ বছরের বৃদ্ধা লক্ষ্মী রানী এখন বয়সের ভারে নুহ্য। বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগ বাসা বেধেছে শরীরে। তাই আগের মতো গ্রামে ঘুরে ফেরি করতে পারে না। তাই কখনো কখনো তার শতবর্ষী মাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে না খেয়েও দিন কাটাতে হয়।

সাংবাদিক অংকন তালুকদার বলেন, জীবন সংগ্রামে খুঁড়িয়ে চলা এই বৃদ্ধা মহিলার ভাগ্য এতোটাই খারাপ যে, এতোদিনেও সরকারের দেওয়া বয়স্ক বা বিধবা ভাতার কার্ড জোটেনি তার কপালে। শুধু তাই নয়, শতবর্ষী মায়ের কপালেও জোটেনি কোনো কার্ড।

আগৈলঝড়া উপজেলার সমাজ সেবা কর্মকর্তা জানান, অচিরেই তাকে বয়স্ক ভাতার আওতায় নেওয়া হবে।

জীবন সংগ্রামে হার না মানা বৃদ্ধার সরকারের কাছে একটাই অনুরোধ, এখন বয়সের ভারে সে আর আগের মতো মানুষের বাড়ি বাড়ি ফেরি করতে পারে না। তাই যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি তাকে ছোট একটি ঘর ও উপার্জনের জন্য একটি দোকানের ব্যবস্থা করে দেন তাহলে সেখানে বসে ব্যবসা করে হয়তো তার অসুস্থ শতবর্ষী মাসহ পরিবারের সকলের মুখে দু-মুঠো খাবার তুলে দিতে পারবেন।

এস আর/এস এ/এডিবি