পর্যটন শহর কক্সবাজারের প্রধান সড়কের নির্মাণ কাজ অবশেষে শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে কক্সবাজার শহরের চিত্র।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ারছড়া পিটি স্কুল এলাকা থেকে বার্মিজ মার্কেট পর্যন্ত প্রধান সড়কের সীমানা নির্ধারণ কাজের উদ্বোধন করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান লেঃ কর্নেল ফোরকান আহমেদ।
২৯৮ কোটি ১৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড় থেকে হাশেমিয়া মাদরাসা পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ কাজ প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, 'কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কটি সবচেয়ে পুরাতন ও ব্যস্ততম সড়ক। এই সড়ক দিয়ে কক্সবাজারবাসী ও দেশের নানাপ্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা চলাচল করে থাকেন। এজন্য সড়কটি নির্মাণ কাজ ছিলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটি নির্মাণকাল ৩ বছর। কিন্তু কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দেড় বছরের মধ্যে টেকসই একটি সড়ক মানুষকে উপহার দিতে চায়।'
তিনি বলেন, একটি সুখবর হলো শহরের হলিডের মোড় থেকে হাশেমিয়া মাদরাসা পর্যন্ত প্রধান সড়কের প্রথম পর্যায়ের কাজ গত ১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন। বাকীটুকু হাশেমিয়া মাদরাসা থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজে কিছু প্রশ্ন রয়েছে। এগুলোর উত্তর দেওয়ার পর ওই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজও শুরু হবে অতি শিগগিরই। এখন যে প্রথম পর্যায়ের কাজ অনুমোদন হয়েছে সেটির কার্যাদেশ দেওয়ার পরপরই শহরের প্রধান সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
কউক চেয়ারম্যান বলেন, কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কের নির্মাণ কাজ দুটি কোম্পানিকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে দ্রুত কাজ শেষ করা যায়। দুইটি জিনিস মাথায় রেখে এই সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। এর একটি হলো কোয়ালিটি, আরেকটি হলো সময়।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) জানান, এই সড়কটি প্রশস্তকরণ ও সংস্কারের জন্য তিনবছর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি প্রকল্প জমা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পটির ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে এতোদিন এর অনুমোদন হয়নি। পরে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, শহরের ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার অংশে এই সংস্কার ও প্রশস্তকরণের কাজ হবে। হলিডে মোড় থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত প্রশস্ত করা হবে এই সড়কটি। সড়কের প্রশস্তকরণের পাশাপাশি দুইপাশে পথচারীদের চলাচলের জন্য ফুটপাত, ফুটওভার ব্রিজ, ড্রেন, ব্রিজ-কালভার্ট, সাইকেলওয়ে নির্মাণ করা হবে। এছাড়া সড়কের মাঝখানে সবুজায়ন, দুইপাশে সড়ক বাতি ও সিসি ক্যামেরা এবং ওয়াইফাই সংযোগ স্থাপন করা হবে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের হলেও এই সড়কটি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) কাছে হস্তান্তর করেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণালয়।
এস এ/এডিবি
