ন্যাভিগেশন মেনু

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা এখন ১৩তম গ্রেডে


শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের সবাইকে জাতীয় বেতন কাঠামোর ১৩তম গ্রেড দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সরকার।

সোমবার (১২ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সবার গ্রেড উন্নীত করার নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করেছে।

ওই আদেশে বলা হয়, অর্থ বিভাগের সম্মতিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড-১৪ (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) এবং বেতন গ্রেড-১৫ (প্রশিক্ষণ বিহীন) থেকে গ্রেড-১৩ তে উন্নীত করা হয়েছে।

অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্রে ৫ নম্বর কলাম থেকে জানা গেছে, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯ এর তফসিল অনুযায়ি পদ পূরণযোগ্য’ এবং ১ নম্বর শর্তে বলা হয়েছে ‘উপরের ৪ নম্বর কলামে নির্ধারণকৃত বেতন গ্রেড ৫ নম্বর কলামে প্রদর্শিত যোগ্যতা/অভিজ্ঞতা অনুযায়ি কার্যকর হবে’। অর্থাৎ ২০১৯ সালের নিয়োগবিধি অনুযায়ি যারা নব নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন তাদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার এ শর্ত প্রযোজ্য হবে।

আদেশে আরও বলা হয়, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯’ অনুযায়ি সহকারী শিক্ষকের নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। কিন্তু ইতোপূর্বে ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৮৩’তে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি এবং পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি। ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক বিধিমালা, ১৯৯১’তে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি এবং পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি। ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৩’তে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি এবং পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্নাতক।

২০১৯ সালের পূর্বের নিয়োগবিধির আওতায় যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তারা ওই নিয়োগবিধিতে যে শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারিত ছিল সে অনুযায়ি নিয়োগ পেয়েছেন। ওই সব শিক্ষকের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। কাজেই ওই সব বিধিমালার আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত সব সহকারী শিক্ষক অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্রের ১ নম্বর শর্তে উল্লিখিত যোগ্যতা/অভিজ্ঞতা অনুযায়ি বেতন গ্রেড-১৩ পেতে পারেন বলে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে।

কিন্তু যে সব অভিজ্ঞ সহকারী শিক্ষক ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯’ এর আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত হননি এবং স্নাতক ডিগ্রিবিহীন, তারা বেতন গ্রেড-১৩ তে বেতন নির্ধারণ করতে পারছেন না বলে জানা গেছে। এতে মাঠ পর্যায়ে শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা বা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, শিক্ষাবান্ধব সরকারের এরকম একটি উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য কোমলমতি শিশুদের শিক্ষাদানে নিয়োজিত শিক্ষকদের বিরাজমান সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ২০১৯ সালের নিয়োগবিধি জারি হওয়ার পূর্বের নিয়োগবিধি অনুযায়ী যারা সহকারী শিক্ষক হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে বেতন গ্রেড-১৩ এর সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এডিবি/