ন্যাভিগেশন মেনু

প্রেমিককে বাগে আনতে পর পুরুষের সঙ্গে রাত যাপন তরুণীর


প্রেমিককে বাগে আনতে পর পুরুষের সঙ্গে রাত যাপন করে ফাঁসাতে গিয়ে ধরা খেল তরুণী নিজেই।

এ কাণ্ড দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামের। এক যুবকের সঙ্গে প্রেম ছিল তরুণীটির। কিন্তু তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয় তরুণী। এমনকি ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় যুবক।

এমতাবস্থায় প্রেমিককে বাগে আনতে তরুণী যে কাণ্ডটা ঘটাল তা শুনে মানুষ হতভম্ব। প্রেমিককে ফাঁসাতে চট্টগ্রামের ওই তরুণী এবারের ভালোবাসা দিবসে আরেক যুবকের সঙ্গে আবাসিক হোটেলে গিয়ে রাত কাটায়।

হোটেলে কক্ষ ভাড়া নেয়ার সময় তরুণী   কৌশলে প্রেমিকের নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে। রাত কাটিয়ে বিয়ের দাবি জানিয়ে থানায় গিয়ে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে।

পুলিশ তদন্ত করে পরে ওই তরুণীর সঙ্গে হোটেলে থাকা যুবক সজীব দাশ রুবেলকে (২৫) গ্রেফতার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন গণমাধ্যমকে বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই তরুণী কামরুল হাসান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, একসঙ্গে চাকরি করার সুবাদে কামরুলের সঙ্গে তার গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রেম হয়। কিন্তু কামরুলকে বিয়ের কথা বললে সে এড়িয়ে যায়।

এর পর ১৪ ফেব্রুয়ারি কামরুল নগরীর স্টেশন রোডের একটি হোটেলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে বাসায় চলে যায়। মামলার পর ওই তরুণীর কাছ থেকে কামরুলের ছবি সংগ্রহ করা হয়।

ওই হোটেল থেকে তরুণীর সঙ্গে রাত কাটানো যুবকের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই তরুণী কামরুল নয় সজীবের সঙ্গে থেকেছে।

ভিডিওফুটেজ দেখে মঙ্গলবার ইপিজেড এলাকা থেকে সজীবকে আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এ সময় ওই তরুণীকেও থানায় ডাকা হয়। তারা দুজনেই স্বীকার করে, ঘটনাটি সাজানো।

তরুণী জানায়- কামরুলকে বাগে আনতে এই কাণ্ড ঘটায়। বুধবার দুজনই চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওসি জানান, জবানবন্দিতে সজীব বলেছে, ওই তরুণী কামরুলকে বিয়ে করতে বলায় সে (কামরুল) চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে যায়।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি তরুণী কামরুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ ফেব্রুয়ারি স্টেশন রোডের হোটেলে গিয়ে তারা। এরপর রুবেল বাসায় চলে যায় এবং মেয়েটি থানায় গিয়ে কামরুলের বিরুদ্ধে মামলা করে।

এখনও তদন্ত চলছে জানিয়ে ওসি বলেন, তদন্ত পুরোপুরি শেষ হলে মেয়েটির বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এস এস