ন্যাভিগেশন মেনু

প্রেমিকা হ্যালো’র সঙ্গে কথা বলতেই টেলিফোন আবিষ্কার


বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। চাইলেই বিশ্বের যে কোন প্রান্তের যে কারো সঙ্গে কথা বলা যায়। চাইলে ভিডিও কল করেও কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে দেখে দেখে কথা বলা যায়। এসব একদিনে তৈরি হয়নি। অনেক সাধনার ফলে আমরা এ সুযোগ পেয়েছি। কথা বলার এ মাধ্যমটি আবিষ্কৃত হয়েছে অনেক আগে।

আজ থেকে প্রায় ১৫০ বছর আগে টেলিফোন যন্ত্রটি আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী স্যার অ্যালেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। ১৮৭৬ সালের পর থেকেই যোগাযোগব্যবস্থায় বিপ্লব আসে তার হাত ধরে।

অনেকেই হয়তো জানেন না, আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল কেন টেলিফোন আবিষ্কার করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি প্রেমিকার সাথে কথা বলতেই উদ্ভাবন করেছিলেন এ আশ্চর্য প্রযুক্তিটি।

আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল  “মার্গারেট হ্যালো” (Margaret Hello) নামের এক তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন। ঐ তরুণীর বাসা বিজ্ঞানী গ্রাহামবেলের বাসা থেকে অনেক দূরে হওয়ায় কথা বলা কঠিন হয়ে পড়তো। এজন্য প্রায়ই কেঁদে উঠতো তার মন।

তিনি একসময় চিন্তা করলেন, কীভাবে তার প্রেমিকার সাথে মন চাইলেই কথা বলা যায়। সে চিন্তা থেকেই তিনি আবিষ্কার করে ফেলেন টেলিফোন।

তিনি যখন টেলিফোন আবিষ্কার করলেন তিনি ভাবলেন টেলিফোনে কথা বলা প্রথম শব্দটি হবে তার প্রেমিকার নাম। তাই তিনি টেলিফোনে যখন প্রথম কথা বলেন তখন উচ্চারণ করেছিলেন “হ্যালো”। সেই থেকে হ্যালো শব্দটির প্রচলন হয়ে আসছে বিশ্বজুড়ে।

ওআ / এস এস