ন্যাভিগেশন মেনু

প্রেমিকের হাতে প্রাণ হারায় অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী পূর্ণিমা


কতোই বা বয়স হবে। তার আগেই অবুঝ মনের কিশোরী স্কুলছাত্রী পূর্ণিমা রানী রায় ওরফে সুন্দরীকে প্রাণ হারাতে হলো।

এর আগে বলা হয়েছিল পূর্ণিমা আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন হাজিরহাট থানার পুলিশ।

তাকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধান আসামি সুরজিত ও তার সহযোগী শ্যামলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার রংপুরের উপ- পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) কাজী মুত্তাকিন ইবনু মিনানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ)  মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার পিপিএম।

মনোহর বাবুপাড়া গ্রামের ফটিক চন্দ্র রায়ের মেয়ে মনোহর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী পূর্ণিমা রানী রায় ওরফে সুন্দরী সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে একই এলাকার সুরজিত চন্দ্র রায়।

সম্পর্কের এক পর্যায়ে পূর্ণিমা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পূর্ণিমার বাবা ও মা ঢাকায় থাকার সুবাদে গত ২৫ জুলাই সুরজিত সকালে তার বাড়িতে এসে পুনরায় শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়।

পূর্ণিমা সুরজিতকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে উভয়ের মাঝে ঝগড়া বাঁধলে এক পর্যায়ে সুরজিত তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে ওড়না দিয়ে ঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

পালিয়ে যাওয়ার সময় সে তার মোবাইলটি পূর্ণিমার ঘরে রেখে যায়। পরে সেখান থেকে কৌশলে মোবাইলটি নিয়ে তার আত্মীয় শ্যামলের কাছে রেখে যায়। পূর্ণিমার স্বজনরা তার ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ উদ্ধার করে সুরতহাল করার সময় তাকে ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষটি জানতে পারে।

এ কাণ্ডে নিহতের পিতা ফটিক চন্দ্র রায় বাদী হয়ে সুরজিতকে আসামি করে রংপুর মেট্রোপলিটন হাজীরহাট থানায় মামলা করে। সুরজিত আদালতে আত্মসমর্পণ করে। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শাহ আলম আদালতে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত তাকে দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। ৮ আগষ্ট শনিবার সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

এস এস