ন্যাভিগেশন মেনু

ফতুল্লায় বিয়াইনকে ধর্ষণ, হলুদের অনুষ্ঠান থেকে গ্রেপ্তার প্রেমিক বিয়াই


বিয়াইনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যুবক ইসতিয়াক আহমেদের। এর মধ্যে প্রেমের গত চার বছরে কয়েকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। কিন্তু বিয়ের প্রস্তাব মেনে নেয়নি ইশতিয়াকের পরিবার। তারা অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেন। এই কথা জানতে পের থানায় মামলা ঠুকে দেন প্রেমিকা বেয়াইন।

শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বর সেজে বউ আনতে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা ছিল ইসতিয়াক আহমেদের। তবে বর সাজার আগেই ধর্ষণের অভিযোগে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। বর সেজে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পরিবর্তে তাকে যেতে হলো শ্রীঘরে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ নাগবাড়ি এলাকায় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ওই এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লার দেওভোগ নাগবাড়ি এলাকার সম্পর্কে বেয়াইন ওই তরুণীর সঙ্গে ইসতিয়াক আহমেদের চার বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়। তারা একে অপরকে বিয়ে করার ইচ্ছে পোষণ করলে বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়। তবে ইসতিয়াকের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। পরে ওই তরুণী বিয়ের জন্য চাপ দিলে করলে ইসতিয়াক নানা টালবাহানা করে অন্যত্র বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

গত ১৪ অক্টোবর ওই তরুণী জানতে পারেন, ইসতিয়াক অন্যত্র বিয়ে করছেন। পরে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ফতুল্লা মডেল থানায় গিয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ করেন। ওই দিনই ইসতিয়াকের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

ইসতিয়াকের দাবি, ওই তরুণী তার সম্পর্কে বেয়াইন হন। তার সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিন বছরে প্রেমিকার নিজ বাসায় উভয়ের সম্মতিতে দুইবার শারীরিক মেলামেশা হয়। তিনি তাদের সম্পর্কের বিষয়টি বাবা-মাকে জানান। কিন্তু বিষয়টি তার বাব-মা মেনে নিতে অস্বীকার করেন এবং তার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেন। বিষয়টি তিনি তার প্রেমিকাকে অবগত করেন। তারপরও প্রেমিকা ধর্ষণের অভিযোগে এনে তাকে গ্রেপ্তার করালেন।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় ইসতিয়াককে গ্রেপ্তার করেছে। প্রেমিকাকে ধর্ষণের মামলায় আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এডিবি/