ন্যাভিগেশন মেনু

ফাইভ-জি’র সাহায্যে ‘কভিড-১৯’ মোকাবেলা


তথ্য প্রযুক্তি প্রতিবেদক: মহামারী করোনা প্রতিরোধে প্রযুক্তির সাথে কিভাবে সমন্বয় সাধন করতে পারে, তা একটি নতুন শ্বেতপত্রের মাধ্যমে স্ববিস্তারে তুলে ধরেছে বিশ্বের অন্যতম বড় হিসাব নিরীক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ডিলোয়েট। 

সম্প্রতি হুয়াওয়ের সাথে যৌথভাবে প্রকাশিত এই শ্বেতপত্রটিতে মহামারির মতো জরুরী অবস্থা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যসেবা খাতের ডিজিটাল রূপান্তরের গুরুত্বও তুলে ধরা হয়েছে।

“৫জি’র সাহায্যে ‘কভিড-১৯’ মোকাবেলা: গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির সুযোগ” শীর্ষক এই শ্বেতপত্রে করোনা নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসায় চীনের সাফল্যকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

করোনা মোকাবেলায় দেশটির বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের তথ্য চাহিদা নিরুপণে ৫জি অভিজ্ঞতা কিভাবে কাজে দিয়েছে, সেটিও শ্বেতপত্রটিতে বিস্তারিতভাবে ব্যাখা করা হয়েছে।

এছাড়াও ৫জি’র মূল ফিচারগুলো, যেমন- উচ্চ গতির সংযোগ, বিস্তৃত সংযোগ কেন্দ্র, লো লেটেন্সি (দ্রুতি) এবং বিশাল ডেটা ব্যান্ডউইথ কিভাবে বিগ ডেটা, এআই এবং ক্লাউড প্রযুক্তির সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে মহামারি প্রতিরোধ সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে, সে বিষয়টিও শ্বেতপত্রে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ৫জি’র এই ফিচারগুলো প্রয়োজনে তথ্য-উপাত্ত আদান-প্রদানের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি নতুন আইডিয়া ও চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রে সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে। শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, সংক্রমিত ব্যক্তির স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাসহ করোনা ভাইরাসের মতো মহামারির প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কার্যকর যোগাযোগ ও তথ্য-উপাত্ত আদান-প্রদানের গুরুত্ব অপরিহার্য। ৫জি’র মতো শক্তিশালী মোবাইল নেটওয়ার্ক অবকাঠামোর মাধ্যমে দূর থেকে রোগীকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ, রোগ নির্ণয় এবং সংক্রমণ পর্যবেক্ষণে প্রয়োজনীয় থার্মাল ইমেজিং সম্ভব। পেন্ডামিক মনিটরিং প্ল্যাটফর্মস, ন্যাচারাল ডিজেস্টার কমান্ড সেন্টারস এবং রিপোর্ট মেডিকেল কনসালটেশন- ৫জি’র অতিরিক্ত তিনটি অ্যাপ্লিকেশন, যেগুলো ‘কভিড-১৯’ এর মতো মহামারির সময়ে বেশ উপকারে আসতে পারে।

৫জি সংযুক্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রোগীর সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ, স্বল্প সময়ের মধ্যে কার্যকরভাবে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ, দূর থেকে যোগাযোগ ও জনবল বরাদ্দের মতো সুফল খুব সহজেই পাওয়া যায়।

একটি জরুরী অবস্থা মোকাবেলায় এই প্রযুক্তির ব্যবহার ইতোমধ্যেই নজিররেখেছে। চিনে ‘কভিড-১৯’ চিকিৎসায় এআই ভিত্তিক গুণগত মেডিকেল ইমেজ বিশ্লেষণ সেবার উন্নয়ন ও প্রচলনে হুয়াজং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং ল্যানওন টেকনোলজির সাথে কাজ করছে হুয়াওয়ে।

এটি কম্পিউটার ভিশন এবং মেডিকেল ইমেজ বিশ্লেষণ প্রযুক্তির মতো শীর্ষস্থানীয় এআই-প্রযুক্তি সব্যবহার করে ইমেজিং এবং ক্লিনিক্যাল ডাক্তারদের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিটি কোয়ান্টিফিশনের ফলাফল প্রকাশ করতে পারে। 

ফলশ্রুতিতে ‘কভিড-১৯’ নির্ণয়ে দক্ষ ইমেজিং ডাক্তারদের যে ঘাটতি ছিলো, সেটি দূর করেছে। এছাড়া কোয়ারেন্টাইন চাপ থেকে মুক্তির পাশাপাশি বাড়তি কাজের চাপ থেকেও ডাক্তারদেরকে মুক্তি দিয়েছে। শ্বেতপত্রটিতে আরো বলা হয়েছে যে, স্বাস্থ্যখাতে এই সাফল্য অন্যান্য খাতগুলোতে ৫জি’র প্রসারে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। 

৫জি’র এই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির ফলে স্মার্ট সিটি ব্যবস্থাপনার মতো উৎপাদন ক্ষেত্রেও সম্পদ ও জনবল বরাদ্দ থেকে শুরু করে নিরাপত্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসতে পারে।

হুয়াওয়ে এবং এর বৈশ্বিক অংশীদাররা একাধিক ৫জি প্রজেক্ট নিয়ে একসঙ্গে কাজ করেছে। স্বাস্থ্যসেবা, নিউ মিডিয়া, ক্যাম্পাস এবং শিক্ষা- সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। অংশীদারদের সাথে পরিচালিত এসব উদ্ভাবন প্রোগ্রামের মাধ্যমে অভিনব ৫জি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে আগামী পাঁচ বছরে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে হুয়াওয়ে।

শ্বেতপত্রটি ডাউনলোড করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন:

হুয়াওয়ে সম্পর্কে: হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। সমৃদ্ধ জীবননিশ্চিতকরণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি উন্নত ও সংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য।

 নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে হুয়াওয়ে একটি পরিপূর্ণ আইসিটি সল্যুশন পোর্টফোলিও প্রতিষ্ঠা করেছে, যা গ্রাহকদের টেলিকম ও এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক, ডিভাইস এবং ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধাসমূহ প্রদান করে। 

প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে, যা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার সমান। এক লাখ ৮০ হাজার কর্মী নিয়ে বিশ্বব্যাপী টেলিকম অপারেটর, উদ্যোক্তা ও গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক সমাজ তৈরির লক্ষ্যে হুয়াওয়ে এগিয়ে চলেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল শেষে হুয়াওয়ের আয় প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ১৯.৫% বেশি। এছাড়া গবেষণা ও উন্নয়নে (আরঅ্যান্ডডি) বিনিয়োগ মোট বার্ষিক রাজস্বের ১৪.১%, যার ফলেই পণ্য ও সল্যুশনের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে। বিশেষ করে ফাইভজি’র ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে বিশ্বব্যাপী ৪০টি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং ইতোমধ্যে ৭০ হাজার বেইজ স্টেশন হস্তান্তর করেছে। 

প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় হুয়াওয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যান্যদের চেয়ে অন্তত ১২ থেকে ১৮ মাস এগিয়ে। শীর্ষস্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে, গত ২১ বছর ধরে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি শিল্প, টেলিকম অপারেটর এবং স্থানীয় অংশীদারদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে তথ্য-প্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিয়ে ’ডিজিটাল বাংলাদেশে’র স্বপ্ন পূরণে অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। 

এছাড়া বিভিন্ন সিএসআর কর্মসূচী পরিচালনার মাধ্যমে সামাজিক ক্ষেত্রেও নানান অবদান রাখছে হুয়াওয়ে। বাংলাদেশের জন্যই বাংলাদেশে হুয়াওয়ে! বাংলাদেশের প্রতি এটিই হুয়াওয়ের আহ্বান; চিন্তা এবং জীবনাচারণের এমন একটি পন্থা, যেটি যৌথ সহযোগিতার উপর প্রতিষ্ঠিত।

এস এস

একই ধরণের সংবাদ পেতে এখানে ক্লিক করুন