ন্যাভিগেশন মেনু

বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট


নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় দুটি মামলায় ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর ) সকাল ১১টায় পিবিআই জেলা কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংএ বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পিবিআই-এর জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মুন্সী।

এ সময় তিনি জানান, নারীকে নির্যাতন, ধর্ষণ ও ভিডিও ভাইরাল করার প্রধান হোতা প্রবাসী জামাল উদ্দিন। ঘটনার পেছনে থাকায় তাকে দায়ের করা তিনটি মামলার কোনোটিতেই আসামী করা হয়নি। কিন্তু পিবিআই দীর্ঘ তদন্ত শেষে তাকে মামলায় প্রধান হোতা হিসেবে অভিযুক্ত করেছে।

তিনি আরও জানান, ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুটি এবং পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি। যার মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলা দুটিতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। যেখানে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় ১৪জন এবং ধর্ষণের মামলায় দুই জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়। তবে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত দুইজন বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলায়ও অভিযুক্ত রয়েছে।

পুলিশ সুপার ব্রিফিংয়ে আরও জানান, বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও পর্ণগ্রাফির দুটি মামলায় ৪৮ কার্যদিবস এবং ধর্ষণ মামলায় ৪০ কার্যদিবসের তদন্তে পিবিআই ৩০জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। মামলা তিনটির মধ্যে দুটি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী রয়েছে নয় জন। অপর ধর্ষণ মামলায় দুই জন। কিন্তু তদন্তে মোট ১৪ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।

ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোট ১২ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুইজনকে অব্যাহতি দিয়ে অভিযোগ দাখিল করা হয়। প্রধান পৃষ্টপোষক জামাল উদ্দিনসহ মামলার অপর চার আসামী বর্তমানে পলাতক রয়েছে। এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের মধ্যে আট জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে। যাদের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামী সাত জন ও এজাহার বহির্ভুত আসামী চার জন।

ব্রিফিং শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে পিবিআইয়ের একটি দল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট উৎপল চৌধুরীর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

উল্লেখ, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের একটি ভিডিও গত ৪ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পরই তৎপর হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

সিবি/এডিবি