ন্যাভিগেশন মেনু

ফের গুলিযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গা দুষ্কৃতী নিহত


অপ্রতিরোধ্য রোহিঙ্গা দুষ্কৃতীরা। থামছেই না তাদের মাদক কারবরি ও সন্ত্রাসীপনা। কক্সবাজার জেলার স্থানীয়রা এখন তাদের বেপরোয়ার কারণে ভয়ে অস্থির।এতে নড়ে-চড়ে বসেছে সরকার। এখন কড়া নজরদারিতে পড়েছে রোহিঙ্গারা।ফের  কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘গুলিযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা দুষ্কৃতী নিহত হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহতরা সন্ত্রাসী এবং হ্নীলার জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকার শাসকদলের ফ্রন্ট যুবলিগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।   

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে এ গুলিযুদ্ধ ঘটে। নিহতরা হল- নয়াপড়া রেজিস্ট্রার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮৩৮ নম্বর বাসার একনম্বর কক্ষের জমির আহম্মদের ছেলে মো. আব্দুল করিম (২৪) ও একই ক্যাম্পের ৮৮০ নম্বর বাসার ১/২ নম্বর বাসার সৈয়দ হোসেনের ছেলে নেছার আহম্মদ ওরফে নেছার ডাকাত। দুইজনের বাড়ি-ই মায়ানমারের আকিয়াবের মংডুর বুচিদং এলাকায়। 

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, যুবলিগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার কয়েকজন আসামি জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবিরের শিশুবান্ধব কেন্দ্রের পেছনে পাহাড়ের উপরে পানির ট্যাংকের পাশে অবস্থান করছে- এমন গোপন খবরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু উপস্থিত টের পেয়েই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন, কনস্টেবল নাবিল ও রবিউল ইসলাম আহত হন। এ সময় আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ২৮ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে। এক পর্যায়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুইজনকে পাওয়া যায়। আশপাশে তল্লাশি চালানো হলে ঘটনাস্থল থেকে দুইটি বন্দুক,   তাজা কার্তুজ পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ দুইজনকে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত ২২ আগস্ট রাতে হ্নীলার জাদিমুরায় বাড়ির সামনে যুবলিগ নেতা ওমর ফারুককে হত্যা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এ মামলার আসামিদের মধ্যে দুর্ধর্ষ ডাকাত নূর মোহাম্মদসহ তিন সন্ত্রাসী পুলিশের সঙ্গে ‘গুলিযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। এ নিয়ে ওই মামলার পাঁচ আসামি গুলিযুদ্ধে নিহত হয়েছে।

মাদক কারবারি হত: এদিকে দেশের পশ্চিমের জেলা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মোল্লা তেঘরিয়া ক্যানাল পাড়ায় ‘গুলিযুদ্ধে’ মাদক কারবারী সুজন মালিথা (৩৫) নিহত হয়েছে। পুলিশ বলছে, ত্রিমুখী ‘গুলিযুদ্ধে’ নিহত সুজন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি গুলি, ৩০০টি ইয়াবা বড়ি, ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে।