ন্যাভিগেশন মেনু

ফের গুলিযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গা মাদক কারবারি নিকেশ


টাকার লোভে বড়ই বেপরোয়া মায়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা মাদক কারবারিরা।জীবন তাদের কাছে তুচ্ছ।

গতকাল শুক্রবার পাঁচ মাদক কারবারি গুলিযুদ্ধে নিহতের পরও থেমে নেই তাদের বেআইনী কারবার। ফের আজ শনিবার আরও দুই রোহিঙ্গা মাদক কারবারি গুলিযুদ্ধে খতম হলো।মাদকের রাজধানী হিসেবে খ্যাত দেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘গুলিযুদ্ধে’ দুজন রোহিঙ্গা মাদক কারবারি নিহত হয়।

এ ঘটনায় বিজিবির তিনজন সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিজিবি। নিহত দুজন হলেন উখিয়ার কালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের বাসিন্দা মৃত সৈয়দ আহমদের ছেলে মো. আব্দুস সালাম (৩৫) ও একই শিবিরের মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ছেলে মোহাম্মদ ফেরদৌস (৩০)।এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ২ লাখ ১০ হাজারটি ইয়াবা বড়ি, ১টি  অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদার মোছনির লবণমাঠ–সংলগ্ন ছুরিরখাল এলাকায় এ ঘটনা । মায়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান পাচার হওয়ার গোপন সংবাদ পায় বিজিবি। তারই সূত্র ধরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা সীমান্তচৌকির একটি বিশেষ টহল দল মোছনি লবণমাঠ-সংলগ্ন এলাকায় চোরাচালানবিরোধী টহল দিচ্ছিল।

এই সময় দূর থেকে দু–তিনজনকে সাঁতরে নাফ নদী পার হয়ে বেড়িবাঁধে উঠতে দেখা যায়। টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে সশস্ত্র ইয়াবা কারবারিরা গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে চার থেকে পাঁচ মিনিটের মতো গুলিযুদ্ধ ঘটে।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।

২০১৮ সালের ৪ মে থেকে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশ, মাদক ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মানব পাচারকারী দালাল চক্র ও ডাকাত দলের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত চারজন নারীসহ শুধু কক্সবাজার জেলায় ২৬৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই নারীসহ ১০৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিকও রয়েছেন।

এস এস