ন্যাভিগেশন মেনু

মামুনুল হকের ফের ২৪ দিনের রিমান্ড আবেদন


নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা পৃথক তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের ২৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।

রবিবার (২ মে) সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার মামলায় ১০ দিন, রয়েল রিসোর্ট কাণ্ডের মামলায় ৭ দিন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুরের মামলায় ৭ দিন মোট ২৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম।

গত ৩০ এপ্রিল প্রলোভন, প্রতারণা,  নির্যাতনের অভিযোগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেন কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।

মামলার এজাহারে জান্নাত আরা ঝর্ণা বর্ণনা করেন, বিয়ের প্রলোভন ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মামুনুল হক আমার সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন। কিন্তু বিয়ের কথা বললে মামুনুল করছি, করবো বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। ২০১৮ সাল থেকে ঘোরাঘুরির কথা বলে মামুনুল বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্টে আমাকে নিয়ে যান।

মামলার এজাহারে প্রথম স্বামী শহীদুলের সঙ্গে সংসার ভাঙার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে মামুনুলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৫ সালে তার স্বামী মাওলানা শহীদুল ইসলামের মাধ্যমে মামুনুল হকের সঙ্গে পরিচয় হয়। স্বামীর বন্ধু হওয়ায় আমাদের বাড়িতে মামুনুলের অবাধ যাতায়াত ছিল। মামুনুলের সঙ্গে পরিচয়ের আগে  তাদের দুই সন্তান আবদুর রহমান (১৭) ও মোহাম্মদ তামিম (১৩) নিয়ে আমরা সুখে-শান্তিতে বসবাস করে আসছিলাম। আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মতানৈক্যের মধ্যে প্রবেশ করে মামুনুল হক শহীদুল ও আমার মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে থাকেন। মামুনুলের  কারণে আমাদের দাম্পত্য জীবন চরমভাবে বিষিয়ে ওঠে। সাংসারিক এই টানাপড়েনে একপর্যায়ে মামনুলের পরামর্শে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

অভিযোগে জান্নাত আরা উল্লেখ করেন, ‘বিচ্ছেদের পর তিনি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পারিবারিকভাবে অসহায় হয়ে পড়েন। এ সময় মামুনুল আমাকে খুলনা থেকে ঢাকায় আসার জন্য বলেন। আমি ঢাকায় চলে আসি। মামুনুল আমাকে তার অনুসারীদের বাসায় রাখেন। সেখানে নানাভাবে আমাকে প্রস্তাব দেন। একপর্যায়ে পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তার প্রলোভনে পা দিই। এরপর তিনি উত্তর ধানমন্ডির নর্থ সার্কুলার রোডের একটি বাসায় আমাকে সাবলেট রাখেন। একটি বিউটি পারলারে কাজের ব্যবস্থা করে দেন। ঢাকায় থাকার খরচ মামুনুলই দিচ্ছিলেন।’

মোদীবিরোধী আন্দোলনের নামে রাজধানী ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হাটহাজারীতে বেপরোয়া তাণ্ডবের পর রিসোর্টকাণ্ডে মামুনুল হককে গত ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল জানায় দুই নারীর সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক বিয়ে করেন তিনি। হেফাজতের এই নেতা প্রথম দফায় সাতদিনের রিমান্ডের পর বর্তমানে দ্বিতীয় দফায় ৭ দিনের রিমান্ডে আছেন।

এছাড়াও ২০২০ সালে দায়ের হওয়া মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পল্টন ও মতিঝিল থানার পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।

ওয়াই এ/এডিবি/