ন্যাভিগেশন মেনু

ফেসবুক পোস্ট বিবাদেই সায়েম খুন


ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় গাঁজা সেবন বিষয়ে ফেসবুকে বন্ধুর দেওয়া স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হাতে কলেজছাত্র মো. সায়েম খান (১৯) নিহত হওয়ার ঘটনায় আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন এজাহারের আসামি এবং অপরজনকে গ্রেপ্তারকৃতদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার করা হয়- মেহেরাবাড়ি গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (৪৭) এবং মামলার প্রধান আসামি সাব্বিরের পিতা আমানুল্লাহ (৪৮)। আমানুল্লাহ এজাহারের তালিকাভুক্ত আসামি। ফারুককে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আমানুল্লাহকে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বলরামপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১৪। তারও বাড়ি ভালুকার মেহেরাবাড়ি।

এর আগে এই মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারা হল- উপজেলার মেহেরাবাড়ি গ্রামের  আমান উল্লাহর ছেলে ওই মামলার প্রধান আসামি মো. সাব্বির হোসেন (২০), একই গ্রামের হাবিবুর রহমান হবির ছেলে সোহাগ মিয়া (১৯) ও মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সারোয়ার আলম (১৯)।তিন আসামির মধ্যে মো. সাব্বির হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

অপর দুই আসামিকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের করা রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হয়। পরে আসামি মো. সোহাগ মিয়াকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর এবং সারোয়ার আলমের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক মেহেদী হাসান জানান, নিহত সায়েম খান ভালুকার মর্নিং সান স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

  গাঁজা সেবন বিষয়ে ফেসবুকে মিরাজ নামের বন্ধুর দেওয়া স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে গত রবিবার (৪ জুলাই) রাতে উপজেলার ভালুকা ইউনিয়নের মেহেরাবাড়ি এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের হাতে আহত হয়ে পরদিন সোমবার (৫ জুলাই) সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় কলেজছাত্র মো. সায়েম খান। পরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে গত সোমবার (৫ জুলাই) ওই ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো তিন-চারজনকে আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের  করেন।

মামলা দায়েরের পরপরই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযান চালিয়ে সোমবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার তারাকান্দা গ্রাম থেকে মামলার   তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেন। তারা ওই গ্রামে আসামি সোহাগের বোনের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। এ সময় ওই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি গাছের ডাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদুল ইসলাম   বলেন, কলেজছাত্র মো. সায়েম খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার এজাহার নামীয় পাঁচ আসামির মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে।

এস এস