ন্যাভিগেশন মেনু

বউকে পেতে পুলিশের দারস্থ দুই স্বামী!


এক নারীর দুই স্বামী! বউকে পেতে পুলিশের দারস্থ হয়েছেন দুই স্বামী। তবে সেই নারী এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

তার জ্ঞান ফিরে না আসা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে দুই স্বামীকেই। নারীর জ্ঞান ফিরলেই বোঝা যাবে তিনি কোন স্বামীকে গ্রহণ করবেন।

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের দানগাছী মহল্লায় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এই মহল্লার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে শাহীন পেশায় একজন মাইক্রোবাস চালক। শাহীনের ঘরে স্ত্রী রয়েছে। পেশাগত কারণে শাহীন মাইক্রোবাস নিয়ে দূর দূরান্তে গেলে তার স্ত্রীর প্রতি কুনজর পড়ে একই মহল্লার মৃত হামেদের ছেলে সুমনের। সুমন পেশায় একজন ইলেকট্রিশিয়ান। সুমন এর আগে তিনটি বিয়ে করলেও দু’টির সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। বর্তমানে তার ঘরে রয়েছে এক স্ত্রী।

অভিযোগ উঠেছে, স্ত্রী থাকার পরও সুমন প্রতিবেশী বিশ্বস্ত বন্ধু শাহীনের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। ড্রাইভারি পেশার কারণে প্রায়ই শাহীনকে বাইরে থাকতে হয়। এই সুযোগে সুমন শাহীনের স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাত কাটাতে থাকে।

গত ১ মার্চ শাহীন মধ্যরাতে বাড়ি ফিরে এসে ডাকাডাকি করে স্ত্রীর কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে রাতভর স্ত্রীকে খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হন। ফলে পরদিন স্ত্রীর সন্ধান পেতে বাগমারা পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। পুলিশ শাহীনের স্ত্রীর মোবাইল ফোন  ট্র্যাক করে সুমনের বাড়ির দোতলার একটি ঘর থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পুলিশ শাহীনের হাতে অচেতন অবস্থায় তার স্ত্রীকে তুলে দেয়।

এরপর চিকিৎসার জন্য শাহীন তার অচেতন স্ত্রীকে ভর্তি করেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এখনও তার জ্ঞান ফিরেনি। হাসপাতালে স্ত্রীর শয্যাপাশে রয়েছেন শাহীন। এরই মাঝে সুমন থানায় গিয়ে ওই নারীকে তার স্ত্রী দাবি করেন। এর স্বপক্ষে তিনি থানায় একটি কাবিননামা দাখিল করেছেন। এতে উল্লেখ রয়েছে, গত ২৪ ফ্রেব্রুয়ারি শাহীনের স্ত্রীকে রেজিস্ট্রি কাবিননামা মূলে বিয়ে করেছেন সুমন।

ওআ/এডিবি

একই ধরণের সংবাদ পেতে এখানে ক্লিক করুন