ন্যাভিগেশন মেনু

বগুড়ায় তিন হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে ২৬ জনের মৃত্যু


বগুড়ার তিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা এবং উপসর্গ নিয়ে আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৮ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ৮ জন মারা গেছেন।

রবিবার (১ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় জেলার তিন হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে বগুড়া জেলার ১৮ জন এবং অন্য জেলার রয়েছেন ৮ জন।

বগুড়ায় করোনায় মৃত ১০ জন হলেন - আদমদীঘির মোমেনা (৬০), শাজাহানপুরের আ. আজিজ (৪৮), সোনাতলার শামসুদ্দিন (৬৫), গাবতলীর আজিজার রহমান (৭৭), আদমদীঘির আকতার বানু (৮৫), সদরের জয়নুল (৭১), মতিউর (৬০), বজলার রহমান (৭৫), বাধন চন্দ্র (৬৫) এবং শিবগঞ্জের তাজুল ইসলাম (৬০)।

বগুড়ার বাইরের জেলার ৮ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনায় মারা গেছেন। তবে বাইরের জেলার মৃত্যুর সংখ্যা যোগ না হওয়ায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বগুড়ার নতুন ১০ জনসহ ৫৮২জনে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার (২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অনলাইন ব্রিফিংয়ে জেলার করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে এসব তথ্য জানান বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহীন।

তিনি জানান, বগুড়ায় আবারও সংক্রমণ বেড়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪৭৮ নমুনায় নতুন করে আরও ১২৬ জন শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তের হার ২৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এর মধ্যে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের (শজিমেক) পিসিআর ল্যাবে ২৮২ নমুনায় ৬২ জন, জিন এক্সপার্ট মেশিনে ৪ নমুনায় ৩ জন, এন্টিজেন পরীক্ষায় ১৬৯ নমুনায় ৫১ জন এবং টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৩ নমুনায় ১০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এদের মধ্যে সদরের ৬১ জন, শাজাহানপুরে ১৯ জন, শিবগঞ্জে ১২ জন, শেরপুরে ৬ জন, গাবতলীতে ৬ জন, আদমদীঘিতে ৫ জন, দুপচাঁচিয়ায় ৫ জন, ধুনটে ৪ জন, নন্দীগ্রামে ৩ জন, সারিয়াকান্দিতে ২ জন, সোনাতলায় ২ জন এবং কাহালুতে একজন। এছাড়া একই সময়ে করোনা থেকে ১৯৩জন সুস্থ হয়েছেন।

তিনি আরও জানান, জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৯ হাজার ১২০ জন করোনায আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৫৪ জন। এখন চিকিৎসাধীন আছেন ১ হাজার ৪৮৪ জন।

এ এস বি/এস এ/এডিবি/