ন্যাভিগেশন মেনু

বগুড়ায় নানা আয়োজনে শিক্ষার্থীদের বরণ


বিদ্যালয় চত্বরে লাইনে দাঁড়িয়ে ক্লাসে যাওয়ার অপেক্ষা। তাপমাত্রা পরিমাপ করে একে একে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করছে প্রাণের বিদ্যাপীঠে। মুখে মাস্ক, হাতে গোলাপ নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করলো বগুড়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছে বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষসহ শিক্ষার্থীরা। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় বেজে ওঠে দীর্ঘ বিরতির সেই ক্লাসের ঘণ্টা। আর ঘন্টার শব্দে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়।

বগুড়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এভাবেই দেড় বছর পর পাঠদান শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে নানা আয়োজন করায় প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা। দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয়ে ফিরে আনন্দের বন্যা শিক্ষার্থীদের মাঝে। 

সরকারি নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, জিলা স্কুল সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশকালে শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।

এছাড়া তাপমাত্রা পরিমাপ, স্যানিটাইজার, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। 

বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে হাতধোয়ার জন্য বেসিন স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি ক্লাসে স্যানিটাইজার ও মাস্ক রাখা হয়েছে। 

বগুড়া জিলা স্কুলে রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের উদ্যোগে একটি কক্ষে একটি শয্যাসহ প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর আগে প্রতিষ্ঠানের সব ভবনের কক্ষ, বারান্দা, সিঁড়ি, ছাঁদ এবং আঙিনা যথাযথভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ ওয়াশরুম সঠিকভাবে পরিষ্কার করা হয়। 

শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষে থাকতে চায়। দীর্ঘদিন পর শিক্ষক ও সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা হওয়ায় তারা উচ্ছ্বসিত। 

দেড় বছর বন্ধ থাকায় তাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণে তারা আরও বেশি মনোযোগি হয়ে ক্লাস করবে বলে জানান।

বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু জানান, 'প্রতিষ্ঠান খোলার পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার যে কঠিন চ্যালেঞ্জ তা শতভাগ সফল হতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা হবে।'

বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজার রহমান জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি পাঠদানে সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে পর্যায়ক্রমে বেলা দুইটা পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করেছে শিক্ষরা। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে এসেছে এবং সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে পাঠদান করা হচ্ছে।

এএস/এডিবি/