ন্যাভিগেশন মেনু

অগ্নিঝরা মার্চের ২৬তম দিন:

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা, শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ


২৬ মার্চ ১৯৭১। ২৫ মার্চ পাক বাহিনীর হামলার সাথে সাথেই শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধ শুরু করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করলেন। তাই এদিন মধ্যরাতের পর তিনি ইংরেজিতে স্বাধীনতা ঘোষণার তৈরি করে ইপিআরের ওয়্যারলেসের মাধ্যমে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন। ঘোষণাটি নিচে উদ্ধৃত করা হলো।

‘This may be my last message, from today Bangladesh is independent. I call upon the people of Bangladesh wherever you might be and with what ever you have, to resist the army of occupation to the last. Your fight must go on until the last soldier of the Pakistan occupation army is expelled from the soil of Bangladesh and final victory is achieved.’

এর বাংলা অনুবাদ হলো: ‘এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। বাংলাদেশের জনগণ, তোমরা যে যেখানেই আছ এবং যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শেষ পর্যন্ত দখলদার সৈন্য বাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্য আমি তোমাদের আহ্বান জানাচ্ছি। পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর শেষ সৈনিকটিকে বাংলাদেশের মাটি থেকে বিতাড়িত করে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তোমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।’

রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ২৫ মার্চ রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে শুরু হওয়া যুদ্ধ থেমে থেমে চলতে থাকে রাত ৩টা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। বাঙালি পুলিশের কিছু সদস্য বুকে অসীম সাহস নিয়ে সমান তালে লড়ে চলে ট্যাংক, কামান আর মর্টারের বিরুদ্ধে। অপর একটি গ্রুপ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ মালিবাগ-চামেলীবাগ প্রান্ত দিয়ে ঢাকা শহরে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের সেদিনকার সেই অস্ত্র আর গোলাবারুদ ব্যবহৃত হয়েছে সারাদেশে, সীমান্তবর্তী মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ শিবিরে এবং সন্মুখ সমরে।

২৫ মার্চ দিবাগত রাত ১২টার পর (২৬ মার্চের প্রথম প্রহর) বাঙালি পুলিশ সদস্যদের মরণপণ প্রতিরোধে থমকে যায় ট্যাংক ও কামান সজ্জিত প্রায় আটশত সদস্যের পাকবাহিনী। এর কিছুক্ষণ পর পাকবাহিনী মর্টার ও হেভি মেশিনগান দিয়ে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে বাঁশের বেড়ার তৈরি ৪টি ব্যারাকে আগুন ধরে যায়। পাকবাহিনী ট্যাংক বহরসহ প্যারেড গ্রাউন্ডে ঢুকে পড়ে।

সাড়ে ১২টার দিকে পাক বাহিনীর ভারী অস্ত্রের মুখে বাঙালি পুলিশ সদস্যরা তাদের কৌশল পরিবর্তন করে। গেরিলা পদ্ধতিতে পাকবাহিনীর ওপর হামলা চালায় এবং অনেককে হতাহত করে।

রাত ১টায় পাকবাহিনীর একটি দল শেখ মুজিবের বাসভবনের অদূরে শুক্রাবাদে ব্যারিকেডের মুখোমুখি হয়। এখানে প্রতিরোধ ব্যুহ ভেঙে হানাদাররা রাত দেড়টায় তাঁর বাসভবনে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে বঙ্গবন্ধুকে আটক করে শেরেবাংলা নগরে সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাঁকে সেনানিবাসে নিয়ে সকাল পর্যন্ত আদমজী কলেজের একটি কক্ষে আটকে রাখে।

সকালে আদমজী কলেজ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে সেনানিবাসের ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউজে (বর্তমানে সেনাপ্রধানের বাসভবন যেখানে) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে সন্ধ্যায় অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

২২তম বেলুচ রেজিমেন্টের সৈন্যরা রাতে পিলখানায় ইপিআর-এর উপরে যে হামলা শুরু করেছিল বাঙালি সৈন্যরা সেই প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যায় সারারাত। শত শত বাঙালি সৈন্য নিহত হয়। একজন পাকিস্তানি অফিসারসহ বহু পাকিস্তানি সৈন্যও নিহত হয়। যুদ্ধ এতোটাই প্রচণ্ড ছিলো যে, ২৬ মার্চ অপরাহ্নে ট্যাংক বাহিনীকে পাকিস্তানি সৈন্যদের সাহায্যার্থে পিলখানায় আসতে হয়। পিলখানা ৩নং গেটের কাছে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। ইপিআর সদস্যরা অসীম বীরত্ব প্রদর্শন করেন। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে অসম যুদ্ধে টিকতে না পেরে তারা বুড়িগঙ্গা অতিক্রম করে জিঞ্জিরায় অবস্থান নেন। 

অন্যদিকে, ইপিআর সদস্যদের একটি অংশ বাস নিয়ে চলে যায় মিরপুরের দিকে। সেখানে তারা পাকিস্তানি ও অবাঙালিদের মোকাবেলা করে এবং হরিরামপুর ও সাভার হয়ে আরিচার দিকে সরে যায়। অনেক বাঙালি ইপিআরকে আটক করে নিয়ে যায় বেলুচ কসাইয়ের বাহিনী।

পাক হানাদার বাহিনী ঢাকায় দিনরাত কারফিউ দিয়ে ভবন, বস্তি, বাজারের উপর ভারী মেশিনগান ও কামানের গোলা নিক্ষেপ করতে থাকে। এলাকার পর এলাকা আগুন লাগিয়ে ভয়ার্ত নর-নারী-শিশুকে পুড়িয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।

২৫ তারিখ রাত থেকে ২৬ তারিখ ভোর পর্যন্ত ট্যাংক, স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, রকেট নিক্ষেপক, ভারি মর্টার, হালকা মেশিনগানসহ নানা ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরীহ-নিরস্ত্র ছাত্র-শিক্ষক-কর্মীদের হত্যার এক উন্মত্ততা চালানো হয়। মূলত গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়।

এরপর বেশির ভাগ মরদেহ বিভিন্ন হল সংলগ্ন মাঠে মাটিচাপা দিয়ে তার ওপর বুলডোজার চালিয়ে মাটি সমান করে দেওয়া হয়। জীবিত কর্মচারীদের দিয়ে মরদেহ টেনে এনে গর্তে ফেলতে বাধ্য করে এবং তাদেরও মরদেহের স্তূপের পাশে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে। অনেক মরদেহ উন্মুক্ত স্থানে ফেলে রাখে হানাদার বাহিনী। ওই রাতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিক কতজন মানুষকে হত্যা করা হয়েছিলো, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা আজও জানা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ১৯৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে; যাদের মধ্যে জগন্নাথ হলের ৬৬ জন।

ওই দিন ভোরে পাকিস্তানিদের গুলিতে ঘরের মাঝেই প্রাণ হারান মধুর ক্যান্টিনের প্রতিষ্ঠাতা মধুসূদন দে’র স্ত্রী যোগমায়া, সদ্যবিবাহিত বড় ছেলে রণজিৎ ও পুত্রবধু রীনা রানী। অসুস্থ মধুসূদন দে লুকিয়ে থেকে সেযাত্রা প্রাণ পেলেও ঘণ্টাখানেক পর পাকিস্তানিরা আবার ফিরে এসে তাকে ধরে নিয়ে জগন্নাথ হলের মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী, শিক্ষকদের সঙ্গে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে।

২৫ তারিখ রাত ও ২৬ তারিখ ভোরের মধ্যবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৎকালীন ইকবাল হল, সলিমুল্লাহ হল, জগন্নাথ হল, সূর্যসেন হল, মহসীন হল, ফজলুল হক হল, রোকেয়া হলসহ শিক্ষকদের আবাসিক এলাকায় আক্রমণ চালিয়ে ড. জি সি দেব, ড. মুনিরুজ্জামান, অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা-সহ ৯ জন শিক্ষককে ঘরে ঢুকে হত্যা করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের বেশির ভাগ মেয়ে আগেই হল ছেড়ে গিয়েছিলেন, অল্প কয়েকজন মেয়ে হলে অবস্থান করছিলেন। ২৫ মার্চ রাতে সেখানে চালানো হয় পৈশাচিক বর্বরতা। পরবর্তী সময়ে হলের একটি কক্ষে ছয়টি মেয়ের মরদেহ পা-বাঁধা ও নগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায়। এ রাতেই রোকেয়া হল থেকেই শুরু হয় ৯ মাসব্যাপী ধর্ষণের পৈশাচিক উল্লাস।

এদিন ভোর বেলা ৩৬ এলিফেন্ট রোডের বাসায় আগরতলা মামলার ২নং অভিযুক্ত পাকিস্তানি নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত বাঙালি অফিসার লেফটেনেন্ট কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। তার মরদেহ জিপে উঠিয়ে নিয়ে যায় হানাদার বাহিনী। যা আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এদিন ভোরে পাক হানাদার বাহিনী দ্য পিপল, সংবাদ, ইত্তেফাক, বাংলার বাণী অফিসে ট্যাঙ্কের গোলাবর্ষণ করে।

সকালে পাক হানাদার বাহিনী কয়েকবারের চেষ্টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ট্যাঙ্কের গোলায় ধ্বংস করতে না পেরে সেদিন রাতে ডিনামাইট দিয়ে শহীদ মিনার ধূলিসাৎ করে দেয়।

২৬ মার্চ সকালে গুরুদুয়ারা নানক শাহী, শিব ও কালীমন্দিরে ঢুকে সেখানকার পুরোহিতদের গুলি করে হত্যা করা হয়।

অবাঙালিদের সহযোগীতায় পাক সেনারা দুপুরে পুরনো ঢাকা আক্রমণ করে এবং মধ্যরাত পর্যন্ত ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। পুরনো ঢাকায় নিহতদের লাশ বুড়িঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়া হয়।

বিদেশী সাংবাদিকদের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আটকে রাখা হয়।

সকালে পিপলস পার্টির প্রধান জুলফিকার আলী ভূট্টো কড়া সামরিক প্রহরায় ঢাকা ছেড়ে যায়। করাচি বিমান বন্দরে পৌঁছে তিনি ঢাকায় ২৫ মার্চের সেনাবাহিনীর অপারেশনের প্রশংসা করে বলেন, আল্লাহকে অশেষ ধন্যবাদ। সেনাবাহিনী পাকিস্তানকে রক্ষা করেছে।

পিলখানায় ইপিআর ব্যারাক থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ওয়ারলেসের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ইপিআর সদর দপ্তরে পৌঁছায়। চট্টগ্রাম উপকূলে নোঙর করা একটি বিদেশি জাহাজও এই ম্যাসেজ গ্রহণ করে।

চট্টগ্রামে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক জহুর আহমেদ চৌধুরী শেখ মুজিবের স্বাধীনতার ঘোষণাটির বাংলা ভাবানুবাদ সাইক্লোস্টাইল করে শহরবাসীর মধ্যে বিলির ব্যবস্থা করেন। যা ছিল নিম্নরূপ:

‘পাকিস্তান সেনাবাহিনী অতর্কিত পিলখানা ইপিআর ঘাঁটি, রাজারবাগ পুলিশ লাইন আক্রমণ করেছে এবং শহরের লোকদের হত্যা করছে। ঢাকা-চট্টগ্রামের রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধ চলছে। আমি বিশ্বের জাতিসমূহের কাছে সাহায্যের আবেদন করছি।

আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বের সঙ্গে মাতৃভূমি মুক্ত করার জন্য শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে আপনাদের কাছে আমার আবেদন ও আদেশ, দেশকে স্বাধীন করার জন্য শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যান।

আপনাদের পাশে এসে যুদ্ধ করার জন্য পুলিশ, ইপিআর, বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও আনসারদের সাহায্য চান। কোন আপস নেই, জয় আমাদের হবেই। আমাদের পবিত্র মাতৃভূমি থেকে শেষ শত্রুকে বিতাড়িত করুন। সব আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং অন্য দেশপ্রেমিক ও স্বাধীনতাপ্রিয় লোকদের এ সংবাদ পৌঁছে দিন।

আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুন।

শেখ মুজিবুর রহমান

জয় বাংলা।’

২৫ মার্চ, ১৯৭১

আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক এম.এ.হান্নান দুপুর ২টা ১০ মিনিটে এবং ২টা ৩০ মিনিটে আগ্রাবাদ চট্টগ্রাম বেতার থেকে মুজিবের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

আগ্রাবাদ বেতার ভবনের নিরাপত্তাহীনতার কথা ভেবে ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় কয়েকজন বেতারকর্মী চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার ট্রান্সমিশন কেন্দ্রের স্টুডিও ব্যবহার করে স্বাধীন বাংলার বেতার কার্যক্রম শুরু করেন, নাম দেন “স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র”। এখান থেকেই ২৬ মার্চ কিছুক্ষণ পরপর শেখ মুজিবের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন এম এ হান্নান, সুলতানুল আলম, বেলাল মোহাম্মদ, আবদুল্লাহ আল-ফারুক, আবুল কাশেম সন্দ্বীপ, কবি আবদুস সালাম এবং মাহমুদ হাসান প্রমূখ৷ প্রচার করা হয় বিভিন্ন নির্দেশাবলী। মাত্র ১০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সমিটার থেকে ৫০ মাইল জুড়ে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে স্বাধীনতার সে বার্তা। বাঙালির প্রাণে সাহস সঞ্চারিত হয়।

রাত ৮টায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান করাচি থেকে এক বেতার ভাষণে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে সরকারের ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সেনাবাহিনীকে আদেশ দেওয়া হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান অসহযোগ আন্দোলন করে রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজ করেছেন। আমি শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে আগেই ব্যবস্থা নিতে পারতাম। কিন্তু আমি শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের পক্ষপাতী বলেই ন্যায়সঙ্গত উপায়ে উদ্ভুত পরিস্থিতির সমাধান চেয়েছি। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের একগুঁয়েমি, অনড় মনোভাব থেকে এটাই প্রতিয়মান হয় যে, লোকটি এবং তার দল পাকিস্তানের শত্রু। শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সংহতি ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হেনেছেন। এ অপরাধের জন্য তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

[তথ্যসুত্র: মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্নজীবনী, বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ]

এডিবি/