ন্যাভিগেশন মেনু

বঙ্গভ্যাক্সের টিকার অনুমোদনের সিদ্ধান্ত


বৈশ্বিক করোনাভাইরাস প্রতিহত করতে এবার বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে করোনা প্রতিরোধক টিকা বঙ্গভ্যাক্স।  কেননা চাহিদা মতো টিকা না পেয়ে বাংলাদেশ টিকা উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয়। এই টিকার  ট্রায়ালের নীতিগত অনুমোদনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার।

শর্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশের কোম্পানি গ্লোব বায়োটেকের করোনা টিকা 'বঙ্গভ্যাক্স'-এর ট্রায়ালের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)। বুধবার (১৬ জুন) এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় সংস্থাটি।

 বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক এরআগে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি নিজেদের উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকা 'বঙ্গভ্যাক্স' মানবদেহে পরীক্ষা চালানোর অনুমতির জন্য বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ- বিএমআরসির কাছে আবেদন করে ।

অনুমোদনের সাত থেকে দশদিনের মধ্যে রাজধানী ঢাকার কোনো একটি বেসরকারি হাসপাতালে ট্রায়ালের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর এর প্রয়োগের কথা রয়েছে। গ্লোব বায়োটেকের হয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর আবেদন করে ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। বিএমআরসি অনুমোদিত একটি প্রতিষ্ঠান। বঙ্গভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে দেশে কোভিড-১৯ দাপট বেশ বাড়-বাড়ন্ত। বিশেষ করে ভারত সীমান্ত জেলাগুলোতে করোনা দাপট চলছে। ভারত সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশের উত্তরের জেলা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে চলতি মাসের ১৬ দিনে শুধু এই হাসপাতালে মারা গেছেন ১৪৮ জন। হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা মারা যান। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর আটজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারজন এবং কুষ্টিয়ার একজন রয়েছেন।

এর মধ্যে ১ জুন, সাতজন, ২ জুন সাতজন, ৩ জুন নয়জন, ৪ জুন ১৬ জন, ৫ জুন ৮ জন, ৬ জুন ছয়জন, ৭ জুন ১১ জন, ৮ জুন আটজন, ৯ জুন আটজন, ১০ জুন ১২ জন, ১১ জুন ১৫ জন, ১২ জুন ৪ জন, ১৩ জুন ১৩ জন, ১৪ জুন ১২ জন, ১৫ জুন ১২ জন এবং সর্বশেষ ১৬ জুন ১৩ জন মারা যান।

অপরদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা। এটিই দেশে অনুমোদন পাওয়া এক ডোজের প্রথম কোনো ভ্যাকসিন। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

মার্কিন কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের বেলজিয়ান অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান জ্যানসেন ফার্মাসিউটিক্যালস এটি তৈরি করেছে। এই টিকার সংরক্ষণ তাপমাত্রা ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভ্যাকসিনটি ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহারযোগ্য।

বলা হয়েছে- জনসনের টিকা ৭৮ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে। জনসন অ্যান্ড জনসন টিকার সুবিধা হলো এটা সিঙ্গেল ডোজ। অর্থাৎ এই টিকার একটি ডোজই যথেষ্ট।

দেশে অনুমোদিত করোনার বাকি টিকাগুলো দুই ডোজের। বাংলাদেশে এই টিকার স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে থাকছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসি অ্যান্ড এএইচ।

এস এস