ন্যাভিগেশন মেনু

বলাৎকারের শিকার শিশুটি থানায় গেল বিচার চাইতে


একাধিকবার বলাৎকারের শিকার হওয়া শিশুটি অত্যাচার সইতে না পেরে থানায় গেল বিচার চাইতে। এ কাণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলায়।

এরআগে সে মাদ্রাসা ছেড়ে বাড়ি চলে আসে। কিন্তু  বাবা-মায়ের চাপে পড়ে মাদ্রাসার গেটে হাজির হয় ১১ বছরের শিশুটি। কিন্তু ভেতরে না ঢুকে এক শিক্ষকের নাম ধরে গালাগাল করতে থাকে। এক পর্যায়ে মাদ্রাসার গেট থেকে সে দৌঁড়ে চলে যায় থানায়। সেখানে গিয়ে সে জানায় তার ওপর চলা অত্যাচারের কথা।

বৃহস্পতিবার নির্যাতিত শিশুটির মা জানান, তার ছেলে উপজেলার বড়খারচর আদর্শ নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। ওই শিক্ষার্থী গায়ে জ্বর নিয়ে বাড়ি আসে।

জ্বরের জন্য শিশুটিকে ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপর তাকে মাদ্রাসায় যেতে চাপাচাপি করা হলেও সে যেতে রাজি হয়নি। পরে জোর করে শিশুটিকে বাড়ির পাশের ওই মাদ্রাসায় নেওয়া হলেও সে মাদ্রাসার ভেতরে ঢুকতে চায়নি।

গেটের সামনে দাঁড়িয়ে সে মাদ্রাসার মুহ্তামিম মুফতি ইয়াকুব আলীকে (৩৫) উদ্দেশ্য করে গালাগাল শুরু করে। শিশুটির মা আরও জানান, এক পর্যায়ে তার ছেলে দৌড়ে মাদ্রাসার অদূরে থানার সামনে চলে যায়।

পেছন পেছন মা ছুটে গেলে শিশুটি তাকে জানায়, এটাই তার বিচারের স্থান। থানায় বিষয়টি জানানোর পর শিশুটিকে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নূর মোহাম্মদ রফিক জানান, শিশুটিকে পরীক্ষা করে বলাৎকারের আলামত মিলেছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক মুফতি ইয়াকুব আলি ঘটনা প্রকাশ করলে শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। অবশেষে নির্যাতিত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আ. সাত্তার মাস্টার জানান, মুফতি ইয়াকুবের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এস এস