ন্যাভিগেশন মেনু

বশেমুরবিপ্রবি’তে হামলাকারীদের শনাক্ত করা হয়নি এক বছরেও


যুথি সাহা, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জে  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যোগদান করতে গিয়ে নির্মমভাবে হামলার শিকার হয়।

২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর নৃশংস হামলায় প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছিলো। শিক্ষার্থীরা জানান, মূলত আন্দোলন বন্ধ করতেই তৎকালীন উপাচার্যের নির্দেশে ওই হামলা করা হয়েছিলো।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক কোনো মামলা দায়ের না করায় প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তবে এক বছর হয়ে গেলেও হামলার সাথে জড়িত পাচঁ শিক্ষার্থীর স্থায়ী বহিষ্কার এবং এক শিক্ষার্থীর দুই সেমিস্টারের বহিষ্কারাদেশ ব্যতিত এ ঘটনার আর কোনো বিচার পাননি শিক্ষার্থীরা।

মামলার একজন বাদী প্রিয়তা দে বলেন,  “মূলত আন্দোলন বন্ধ করতেই আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছিলো। হামলার পর বিচার নিশ্চিত করতে মামলা করা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব হলেও তারা ওই সময়ে মামলা না করায় আমরা ৭-৮ জন শিক্ষার্থী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে মামলা করেছিলাম।

পরবর্তীতে আমরা হামলাকারীদের ছবিসহ বিভিন্ন ডকুমেন্টস প্রদান করেছিলাম। কিন্তু এক বছর পার হয়ে গেলেও হামলাকারীদের শনাক্ত করা হয়নি এবং কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি।”

এদিকে, দীর্ঘ এক বছরেও বিচার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা।কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মাশুকুর রহমান বলেন, “আমি সামনে থেকে খুব খারাপভাবে হামলার শিকার হওয়া একজন শিক্ষার্থী হিসেবে বলতে পারি।

এতগুলো উর্বর বিবেকের উপর এমন হামলা একজন মানুষের পক্ষে কল্পনাও করা সম্ভব নয়। সাবেক উপাচার্যের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে আমিসহ আমার ভাই-বোনের উপর নির্বিচারে যে হামলা করা হয়েছিলো তার বিচার আমরা আজ অবধি পাইনি।

নবনিযুক্ত নতুন ভিসি মহোদয় এবং প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে,  যে বা যারা এই জঘন্যতম হামলার সাথে জড়িত ছিলো সকলকে বিচারের আওতায় এনে ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করার। যাতে পরবর্তীতে কেউ এমন ঘৃণ্য কাজ করার সাহস না পায়। আমি আমার কিংবা আমাদের উপর নির্মম আঘাতে শরীর বয়ে ঝড়ে পড়া প্রতিটি ফোটা রক্তের সুষ্ঠ বিচার চাই।”

মামলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল সেলের কর্মকর্তা সাজিদুর রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিলো কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হওয়ায় এবং করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকায় সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবগত নই।”

শিক্ষার্থীদের  হামলা এবং নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেন, “হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব ছিলো আমরা সেটা করেছি।

যে সকল শিক্ষার্থী হামলার সাথে জড়িত ছিলো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এছাড়া বর্তমানেও কোনো সমস্যা তৈরি হলে সেগুলো সমাধান করছি এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।

এস এস