ন্যাভিগেশন মেনু

বাঁশখালীতে জেনারেল হাসপাতাল ভাংচুর, লুটপাট ও তান্ডব, অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি


বাঁশখালীর চাম্বল জেনারেল হাসপাতাল ভাংচুর, তান্ডব ও লুটপাট চালিয়েছে দুর্বত্তরা। এতে হাসপাতালটির অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গত রবিবার সংঘটিত এই হামলা তান্ডব ও লুটপাটের সংগঠিত হয়েছিল।

শুক্রবার হাসপাতালের পক্ষে বাঁশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এতে চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুল হক চৌধুরীকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার নেতৃত্বেই এই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ সুত্র জানায়, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় চাম্বল জেনারেল হাসপাতালে ভাংচুর, লুটপাট ও ডাক্তার, নার্স-স্টার্ফদের মারধর করে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলেন হাসপাতালের দায়িত্বরত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শেয়ার হোল্ডারবৃন্দ। তারা হাসপাতালে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, লুটপাট ও ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরা হয়।

বাঁশখালী জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, ‘গত রোববার শেখেরখীল রাস্তার মাথায় ছাত্রদের মিছিলে হামলা চালায় আওয়ামী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। এসময় বাঁশখালী জেনারেল হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক, স্টাফ-নার্সদের মারধর করে। এমনকি হাসপাতালে ভর্তি রোগীদেরও মারধর করেন তারা। 

এ সময় হাসপাতালের ফার্মেসির ডেকোরেশন ভাংচুর, ঔষধ নষ্ট, কম্পিউটার, প্রিন্টার, সিসি টিভি, ডাটা সার্ভার ভাংচুর ও লুট, অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিসংযোগ, অফিস স্টেশনারী লুটপাট, মেশিনারীজ ক্ষয়ক্ষতি, ফার্নিচার, স্ট্রাকচার (চিলিং, টেম্পার গ্লাস) ভাংচুর করে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। 

হাসপাতালের বিভিন্ন ডকুমেন্ট লুটপাট করে জালিয়ে দিয়ে নগদ ১৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অর্ধ কোটি টাকা বলে জানা গেছে। অভিযোগে আরো বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি ডাক্তার, নার্স, স্টার্ফসহ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীরাও। তাদের হামলায় হাসপাতালের একজন টেকনোলজিস্ট গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় ১৪ জন স্টাফকে মারধর করে, মোবাইল ফোনে হাসপাতালের পরিচালকদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদান, ডাক্তার ও নার্সদের শারীরিক নির্যাতনসহ অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে। বিভৎস হামলায় অনেকে পালিয়ে নিজেদের প্রাণে রক্ষা করেন।