ন্যাভিগেশন মেনু

বাঁশখালীতে বিধবা ও প্রতিবন্ধীর জায়গা দখলের অভিযোগ


বাঁশখালীর শেখেরখীল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড এলাকায় শহিদুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দিলোয়ারা বেগম নামে এক বিধবা ও তার প্রতিবন্ধী সন্তানদের জায়গা জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০১০ সালে দিলোয়ারা বেগমের শাশুড়ি ফাতেমা বেগমের কাছ থেকে শশুর বদরুজ্জামানের মালিকানাধীন ২৪ শতক জায়গা থেকে ১২ শতক জায়গা খরিদ করে পুরো জায়গাই দখল করে নেন পুলিশের কনস্টবল শহিদুল ইসলাম। এনিয়ে বিধবা দিলোয়ারা বেগম জায়গা ফেরৎ পেতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও বিগত ১৪ বছরেও তার জায়গা জবর দখল মুক্ত হয়নি।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান একাধিকবার জায়গার জবর দখল ছেড়ে দিতে শহিদুল ইসলামকে নির্দেশ দিলেও পুলিশ সদস্য হওয়ায় প্রভাব বিস্তার করে সে দীর্ঘদিন ধরে জায়গাটি জবর দখল করে রেখেছে। স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য আমিন বাদশার মধ্যস্থতায় গত ১৩ মার্চ সার্ভেয়ার দিয়ে জায়গা পরিমাণ করে খুটি দেয়া হলেও শালিসকার ও সার্ভেয়াররা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর শহিদুল ইসলাম খূটি উপড়ে ফেলে আবারো জায়গা জবর দখল করে নেন।
 
তাছাড়া গত মঙ্গলবার ওই জায়গায় কাটা তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলেছে শহিদুল ও তার লোকজন। তাছাড়া চলাচল পথ বন্ধ করে বিধবাকে ওই জায়গায় যেতে দিচ্ছেনা শহিদুল ইসলাম। এমনকি বিধবা মহিলা ও তার তার সন্তানদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত মোজাহের আহমদের বিধবা স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম তার প্রতিবন্ধী ২ কন্যা সন্তান নিয়ে স্বামীর ভিটায় বসবাস করেন। এদিকে ২০১০ সালে দিলোয়ারা বেগমের শাশুড়ি ফাতেমা বেগমের কাছ থেকে একই এলাকার গোলাম সোবহানের পুত্র পুলিশ কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম ১২ শতক জায়গা খরিদ করে। ১২ শতক জায়গা খরিদ করে শহিদুল ইসলাম প্রভাব বিস্তার করে ওই দাগের ২৪ শতক জায়গাই দখল করে নেন। এনিয়ে বিধবা দিলোয়ারা বেগম থানা পুলিশ ও আদালতে বহু দৌড়ঝাঁপ করলেও জায়গা উদ্ধার করতে পারেনি। এর মধ্যে গত ১৩ মার্চ শেখেরখীল ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিন বাদশার মধ্যস্ততায় একজন সার্ভেয়ার নিয়ে ভূমি জরিপের মাধ্যমে পুলিশ সদস্য শহিদুল ইসলাম ও বিধবা দিলোয়ারা বেগমের জায়গা আলাদা আলাদাভাবে সীমানা চিন্হিত করে দেন। কিন্তু শালিসকার ও সার্ভেয়ার ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর পরই শহিদুল ইসলাম খুটি উপড়ে ফেলে আবারো জায়গাটি জবর দখল করে ফেলে। পরবর্তীতে বিধবা দিলোয়ারা বেগম আদালতে মামলা করলে পুলিশ কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিলেও শহিদুল ইসলাম আইন আদালতের তোয়াক্কা না করে বিধবা ও প্রতিবন্ধী ২ মেয়ের জায়গা জবর দখল করে রাখেন।

এব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, জায়গাটি আমি খরিদ করেছি। আমার দখলে দলিলের বাইরে জায়গা নেই। কতিপয় মহলের যোগসাজশে বিধবা মহিলাটি আমাকে হয়রানি করছে।
বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ জানান, বিধবা ও প্রতিবন্ধীর জায়গা কেউ জবর দখল করলে ছেড়ে দিতে হবে। আদালতের কাগজপত্র দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।