ন্যাভিগেশন মেনু

বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য ছাড় দিতে দিল্লিকে চিঠি দিল ঢাকা


নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য ভারতের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে অজ্ঞাত জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।  করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত  জুন মাসে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে স্থলবন্দরগুলো দিয়ে বাণিজ্য শুরু হয়। কিন্তু  তা ছিল একপেশে। 

ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে এলেও এপারের পণ্য যাচ্ছে না ভারতে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বেনাপোল, ভোমরাসহ বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য গ্রহণ করার জন্য কূটনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে ঢাকা। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য নিতে দিল্লিকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে ঢাকা। 

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সীমান্ত বাণিজ্যে যে জটিলতা দেখা দিয়েছে, কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় সেটি সমাধানের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লিকে অনুরোধ জানিয়েছে। গত ৩ জুলাই দিল্লিতে পাঠানো ওই চিঠিতে ঢাকা  জানিয়েছে, কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব শুরুর পরপরই গত মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত বেনাপোল, ভোমরা, তামাবিল, হিলিসহ বিভিন্ন স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

গত জুনে বেনাপোলসহ কয়েকটি স্থলবন্দরে কার্যক্রম শুরুর পর ভারত থেকে আমদানি পণ্য বাংলাদেশে অবাধে প্রবেশের সুযোগ পেলেও বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য ভারতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

স্থলবন্দরে এ ধরনের একপেশে বাণিজ্যিক আচরণ বৈষম্যমূলক এবং এর ফলে বাংলাদেশের বাণিজ্য বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। 

এ পরিপ্রেক্ষিতে যে প্রক্রিয়ায় ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি পণ্য গ্রহণের বিষয়ে স্থলবন্দরগুলোতে সমান সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে। 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তারা যে অভিযোগ পেয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, বেনাপোল ও ভোমরা হয়ে বাংলাদেশি পণ্য নিয়ে শত শত ট্রাক ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। কিছু কিছু ট্রাক আটকে আছে তিন মাস ধরে। 

পচনশীল পণ্যসহ রপ্তানি পণ্যবোঝাই এসব ট্রাক দিনের পর দিন আটকে থাকায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বেনাপোল বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, গত জুন থেকে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য নিয়ে একটি ট্রাকও ভারতে ঢুকতে পারেনি। 

একপেশে এমন বাণিজ্যের প্রতিবাদে শেষে গত ১ জুলাই থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য আমদানিও বন্ধ করে দিয়েছে বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো। 

ফলে দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যবহৃত স্থলবন্দরটি এখন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সিংহভাগ হয় মূলত বেনাপোল বন্দর দিয়ে। ফলে বর্তমানে সেখানে যে অচলাবস্থা শুরু হয়েছে সেটিকে অনির্দ্দিষ্টকাল ধরে চলতে দেওয়া যায় না। 

এতে দুপক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ  কারণে বন্দরের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার জন্য তারা কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশন এবং দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলেছেন।

এস এস