বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য আকর্ষনীয় স্থান বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত তুরষ্কের রাষ্ট্রদূত মুসতফা ওসমান তুরানের সাথে মতবিনময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে সরকার আকর্ষনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছেন বিনিয়োগকারিদের। দেশের বিভিন্ন স্থানে একশটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। পৃথিবীর অনেক দেশ ইতোমধ্যে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছেন।
তিনি বলেন, তুরষ্কের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের, বাণিজ্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের পাট পণ্যের বড় ক্রেতা তুরষ্ক, গত বছরও দুইশ' মিলিয়নের বেশি মূল্যের পাট পণ্য তুরষ্কে রপ্তানি করা হয়েছে। তৈরী পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে উচ্চহারে শুল্ক প্রদান করতে হচ্ছে, ফলে রপ্তানিতে কিছু সমস্যা হচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সমস্যা চিহ্নিত করে, আলোচনার মাধমে তা সমাধান করা হলে বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব।
মন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে। বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু দেশের সাথে বাংলাদেশ এফটিএ বা পিটিএ স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। তুরষ্কের সাথেও বাংলাদেশের জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন রয়েছে।
এ সময় তুরষ্কের রাষ্ট্রদূত মুসতফা ওসমান তুরান বলেন, তুরষ্ক বাংলাদেশের সাথে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। তুরষ্ক বাংলাদেশের পাট পণ্যের এক নম্বর ক্রেতা। তৈরী পোশাকও তুরষ্ক বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে, এর ডিজাইন নিয়েও তুরষ্ক কাজ করতে আগ্রহী।
রাষ্ট্রদূত বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কাজ করতে চায় তুরষ্ক। তুরষ্ক বাংলাদেশের সাথে জয়েন্টভেঞ্চারেও কাজ করতে আগ্রহী। এন্টিডাম্পিং প্রত্যাহার এবং তৈরী পোশাক রপ্তানি ক্ষেত্রে উচ্চ শুল্কহার কমোনোর বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
এ সময় রাষ্ট্রদূত কোভিড-১৯ সফলভাবে মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
এমআইআর/এডিবি