ভাঙচুর, লুটপাট ও হুমকি ধামকির সুনিদৃষ্ট অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার পৌর বিএনপির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবীরকে তার পদ থেকে অব্যহতি দিয়েছে জেলা বিএনপি।
শনিবার রাতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আ. রসিদ চুন্নু মিয়া ও সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি সাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়, ৫ আগষ্ট সরকারের পতনের পর বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর , লুটপাট ও হুমকি ধামকির অভিযোগ পাওয়া যায়। এর প্রেক্ষিতে তাকে ২৪ঘন্টার মধ্যে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া জেলা বিএনপি। তার জবাব গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তাকে পৌর বিএনপির সভাপতি পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ৫ আগষ্ট সরকারের পতনের পর পৌর বিএনপির সভাপতি মো, হুমায়ুর কবীর তার অনুসারী লোকজন নিয়ে দেশিও অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারন সম্পাদক জিয়াউল হক জুয়েলের বাসভবন ও দলীয় কার্যালয়ে হামলা, উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় জনতা ভবনে হামলা, যুবলীগ নেতা ও যুগান্তের ষ্টাফ রিপোর্টার মো. আরিফুজ্জামান খান রিয়াদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ পৌর শহরের একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও হুমকিধামকি দেয়। এমনকি হামলা করা হয় কালেরকন্ঠ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এমরান হোসেন সোহেলের বাসভবনে।
অবশ্য সকল অভিযোগ অস্বিকার করে বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রতিপক্ষ গোষ্ঠি আমাকে রাজনৈতীক ভাবে ঘায়েল করার জন্যই এমন ষরযন্ত্র করতেছে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্রি বলেন, নৈরাজ্যকারীদের দলে কোন স্থান নাই। যে সে যত বড়ই পদধারী হোক।