ন্যাভিগেশন মেনু

বাগেরহাটে সবজির মূল্য বৃদ্ধি, অস্বস্তিতে সাধারন মানুষ


বাগেরহাটে কাঁচাবাজারে সবজির দাম বৃদ্ধিতে চরম অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে সাধারন মানুষ। করোনা পরিস্তিতিতে আয়ের উৎস কমে যাওয়ার এমনিতেই বিপাকে সাধারন মানুষ। সেখানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মধ্যম আয়ের মানুষ চরম হতাশার মধ্য রয়েছে।

শুক্রবার (২৪ জুলাই) বাগেরহাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রায় সবধরনের সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তার মধ্যে কাচামরিচের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে অস্বাভাবিক ভাবে। বেগুন, বরবটি, পটল, ঢেড়স, করলা, পেঁপেসহ প্রায় সবধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে।

৪০ টাকা কেজির কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, করলা ৫০ টাকা। যার প্রত্যেকটি পণ্য কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে বলে বিক্রেতারা জানান। কিন্তু শসার মূল্য তুলনামূলক অনেক কম। 

বাজারে সবজির বাড়তি দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে রয়েছে ভিন্নমত।

ক্রেতারা বলছেন, বাজারে সবজির ঘাটতি না থাকলেও বেশি মুনাফার আশায় ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। সঠিক বাজার তদারকি অভাব দাম বাড়ছে বলে জানান।

তারা বলছেন, এখন যে অবস্থা তাতে করে মধ্যম আয়ের মানুষের সবজি কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

আর বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারনে অনেক ক্ষেত খামার পানিতে ডুবে নষ্ট হওয়ায় বাজারে সবজির সংকট থাকায় বাড়তি দাম রয়েছে পাইকার বাজারে।

এক সবজি বিক্রেতা বলেন, বর্তমানে অনেক সবজির সিজন না হওয়ায় সেগুলোর বাড়তি দাম রয়েছে পাইকারি বাজারে। বাজারে মালামাল বেশি হলে দাম কমে, মালের সংকট হলে দাম বেড়ে যায়। পাইকারি বাজারের দাম অনুপাতে আমরা খুচরা বাজারে মালামাল বিক্রি করি।

আরেক ক্রেতা জানান, করোনায় আয়ের পথ এক প্রকার বন্ধ তার পরে সবজির মূল্য বৃদ্ধিতে বাজার করতে চরম হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তবে বাজারে মাছের মূল্য কিছুটা কমেছে, রুই মাছ ২০ টাকা কমে ২৩০, ইলিশ মাছ কেজি সাইজের ১০০ টাকা কমে ১২-শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

সিবি/এডিবি