ন্যাভিগেশন মেনু

বাজেটে আজাদ কাশ্মীরের চেয়ে জম্মু কাশ্মীরে ১৬ গুণ বেশি বরাদ্দ ভারতের


পাকিস্তান জানে শুধু সন্ত্রাস।যে কারণে বিশ্বে পাকিস্তান পরিচিতি লাভ করেছে জঙ্গি ও সন্ত্রাস উৎপাদনের কারখানা হিসেবে। বরাবর ভারতের কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান শুধু মায়া কান্না করে যাচ্ছে। অথচ ১৯৪৭ সালের ২২ অক্টোবর পাকিস্তান হত্যা, ধর্ষন, নির্যাতন চালিয়ে জোর-জবরদস্তি করে অধীনে রেখেছে আজাদ কাশ্মীর।

পাকিস্তানের অধীনে থাকা কাশ্মীরবাসীর উন্নয়নের দিকে তাদের কোন লক্ষ্য নেই।ভারতীয় কাশ্মীরে প্রতিবছর যে পরিমাণ উন্নয়ন ঘটে, তার ধারে-কাছে নেই আজাদ কাশ্মীরের উন্নয়ন।

এখন প্রশ্ন উঠেছে দুই কাশ্মীরে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও মানুষের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কেমন? এ নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন দিল্লির একটি সংস্থা ‘ল অ্যান্ড সোসাইটি অ্যালায়েন্স’।

তারা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে ভারতীয় অংশের কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের অধীনে কাশ্মীরের সার্বিক পরিস্থিতি।

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিট-বালতিস্তানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিকখাতে পাকিস্তান যে পরিমাণ বরাদ্দ দিচ্ছে তার চেয়ে জম্মু কাশ্মীরে বেশি বরাদ্দ দিচ্ছে ভারত। 

দিল্লি-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সংস্থা ‘ল অ্যান্ড সোসাইটি অ্যালায়েন্স’-এর  একটি পরিসংখ্যাণে জানানো হয়েছে দুই অংশের কাশ্মীরের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কেমন ।

১৯৪৭ সালে ভারত  ভাগের পর থেকে বিতর্কিত ও সংঘাতপূর্ণ এলাকা হিসেবে কাশ্মীরকে নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্ব আজও বিরাজমান। এই কাশ্মীরের অস্তিত্ব জড়িয়ে রয়েছে তিনটি দেশে। 

ভারতের  রাজ্য জম্মু কাশ্মীর, পাকিস্তানের অধীনে আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিট-বালতিস্তান এবং চিনের অধীনে আকসাই চিন। ১৯৪৭ সালের  পর থেকেই  কাশ্মীরের বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘাত চলছে ভারতীয় সেনাদের। কাশ্মীরের বিদ্রোহীদের  প্রধান ইন্ধনদাতা হলো পাকিস্তান।

ভারতের ‘ল অ্যান্ড সোসাইটি অ্যালায়েন্স’ প্রকাশিত এক পরিসংখ্যাণে দেখা গেছে, আজাদ কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্য ইসলালামাবাদ বাজেটে যে পরিমাণ  শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যয় করছে, তার থেকে জম্মু-শ্রীনগরের জন্য কয়েক গুণ বেশি নাগরিক সুবিধা দিচ্ছে দিল্লি।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে দেখা গেছে, পাকিস্তানের অধীনে আজাদ কাশ্মীরে বাজেট ধরা হয়েছে ১২ হাজার ১৫৬ কোটি পাকিস্তানি রুপি। আর জম্মু কাশ্মীরের জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়েছে ৮৮ হাজার ৯১১ কোটি ভারতীয় রুপি যা পাকিস্তানের চেয়ে ১৬ গুণ বেশি।

এছাড়া জম্মু কাশ্মীরের স্বাস্থ্যখাতে তহবিল দেয়া হয়েছে ৬১৮ বিলিয়ন ডলার। আর পাকিস্তান অধিকৃত আজাদ কাশ্মীরে মাত্র ৬২ বিলিয়ন ডলার। জম্মু কাশ্মীরে হাসপাতাল রয়েছে ৫ হাজার ৫৩৪টি। আর আজাদ কাশ্মীরে হাসপাতাল রয়েছে মাত্র ৭৩টি।

শিক্ষাখাতে দেখা গেছে- পাকিস্তানের গিলগিট-বালতিস্তানে শিক্ষার হার মাত্র ৭ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে মাত্র ৬টি। আর জম্মু কাশ্মীরে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষার হার ৬৭ শতাংশ। আরো রয়েছে ৪টি প্রিমিয়াম ইন্সটিটিউশন।

ভারত সরকার জম্মু কাশ্মীরের শিক্ষাখাতে এর মধ্যে ব্যয় করেছে ১.৫৫ বিলিয়ন ডলার। সেখানে পাকিস্তান আজাদ কাশ্মীরের জন্য ব্যয় করেছে মাত্র ১৭৩ মিলিয়ন ডলার।

এস এস