ভারতের সঙ্গে বিরল-রাধিকাপুর, দর্শনা-গেদে, বেনাপোল-পেট্রােপোল ও রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুটে মালবাহীর পাশাপাশি পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চালাবে ভারত-বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
করোনভাইরাসের আপদকালীন সময় পর্যন্ত এই পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চালাচল করবে।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে অধিদপ্তর এবং রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশের রেলওয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহান বলেন, উভয় দেশের রেলওয়ের সম্মতি এ পার্সেল ট্রেন চালু করা হচ্ছে। আমদানিকারকরা বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ে পর্যন্ত ভারতীয় লাগেজভ্যানে পিঁয়াজ, রসুন, আদা, মশলা ফলমূলসহ শিল্পকারখানার অতি জরুরি কাঁচামাল আনতে পারবেন। আমদানিকারকরা চাইলে ভারতীয় লাগেজভ্যান থেকে মালামাল ট্রান্সশিপমেন্ট করে বাংলাদেশের রেলওয়ের লাগেজভ্যানে দেশের যেকোন স্থানে নিতে পারবেন।
তবে কাস্টম ক্লিয়ারেন্স যমুনার পশ্চিম পাড়েই করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কারণ বঙ্গবন্ধু সেতুর লোড ক্যাপাসিটি কম। ভারতীয় লাগেজভ্যানের ওজন বেশি তাই। আমাদানিকারীরা ইচ্ছে করলে রেলের সাথে যোগাযোগ করে তাদের মালপত্র আমদানি-রফতানি শুরু করতে পারেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ভারতে লাগেজভ্যানে পিঁয়াজ লোড শুরু হয়েছে। ট্রেন ভারত থেকে ছাড়ার আগে বাংলাদেশে রেল কর্তৃপক্ষকে জানালেই সীমান্ত থেকে তা রিসিভ করা হবে। ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি সচল রাখতে ৪ মে ভারতীয় হাইকমিশন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের রেলপথ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্য বৈঠক করেছেন।
এডিবি/