ন্যাভিগেশন মেনু

বাবা-মা হত্যা: ঐশির সাজা বাড়ানোর আবেদন খারিজ


রাজধানীতে পুলিশ দম্পতি হত্যা মামলায় নিজের মেয়ে ঐশির বিরুদ্ধে সাজা বাড়ানোর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে ঐশিকে এ মামলায় আপিল করার আদেশ দিয়েছেন।

সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগে নিজ বাসায় বাবা পুলিশ ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও মা স্বপ্না রহমানকে নিজ হাতে হত্যা করে ঐশী।

ঐশী যখন তার বাবা-মাকে হত্যা করে তখন সে নেশাসক্ত ছিল। নির্বিবাদে নেশা করার জন্যই কফির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে এবং পরে কুপিয়ে হত্যা করে বাবা-মাকে। সেই নেশা এখন আর নেই ঐশীর মধ্যে। স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে সে। তবে এখন সে অনেক চুপচাপ থাকে। বিশেষ করে ফাঁসির আদেশ হওয়ার পর থেকে ঐশী আর আগের মতো আচরণ করে না।

বাবা-মাকে হত্যার দায়ে ২০১৫ সালে ঐশীকে ফাঁসির আদেশ দেন বিচারিক আদালত। তার বন্ধু রনিকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আপিলে ২০১৭ সালের ৬ জুন উচ্চ আদালত ঐশীর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করেন। সেই থেকে ঐশী স্থায়ীভাবে কাশিমপুর মহিলা কারাগারের বাসিন্দা।

কারা সূত্রে জানা যায়, নেশাসক্তি কেটে যাওয়ার পর থেকেই অনুশোচনা চলছে ঐশীর ভেতর। এখন প্রায়ই অনুশোচনায় নিস্তব্ধ হয়ে থাকে সে। মাঝে মাঝে একা একা ফুপিয়ে কাঁদে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট সকালে চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশ ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগেই তাদের মেয়ে ঐশী বাসা থেকে পালিয়ে যায়।

পরদিন ১৭ আগস্ট মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান এ ঘটনায় পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই দিনই ঐশী পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করে তার বাবা-মাকে খুন করার কথা জানায়।

পরে ২৪ আগস্ট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয় ঐশী। তবে ওই জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু সাক্ষ্য, আলামত ও অন্যান্য যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে তা নাকচ হয়ে যায়।

২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর আলোচিত এ মামলার রায়ে ঐশীকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে সহায়তার দায়ে তার বন্ধু মিজানুর রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে আরেক বন্ধু আসাদুজ্জামান জনিকে খালাস দেওয়া হয়।

সিবি/এডিবি