ন্যাভিগেশন মেনু

বিএনপি রাজনীতি বোঝে না: নৌ প্রতিমন্ত্রী


বিএনপি রাজনীতি বোঝে না, তারা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, ওরা সন্ত্রাস, লুটপাট, নৈরাজ্য, জঙ্গিবাদ বোঝে বলে জানালেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) দিনাজপুরের বিরল উপজেলা অডিটোরিয়ামে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সকল পূজামণ্ডপে সরকারি অর্থ বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে আগে আপনারা ফ্রেশ হয়ে আসেন। তারপর আপানারা ফ্রেশ নির্বাচনের কথা বলেন। আপনারা রাজনৈতিকভাবে ফ্রেশ না। কারণ, যুদ্ধাপরাধী, খুনি ও মাদক সম্রাটদের সঙ্গে আপনাদের এখনো আতাত আছে। আপনারা সেই রাজনীতি এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন। এ অপবিত্র মুখে জনগণকে আর এসব কথা বলবেন না। জনগণ ভালো আছে। জনগণকে আতঙ্কিত করবেন না।’

করোনাকালে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন শেখ হাসিনা, তখন আমাদের করোনা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নাই। তখন বাংলাদেশের অনেক সমালোচক সেই কথাটার সমালোচনা করেছিলো। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা ট্রল হয়েছিলো। সেই কথাটা আমি এখনো বিশ্বাস করি। শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের মানুষ অনেক নিরাপদ।’

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যেও ভারত যখন বলে আমরা বাংলাদেশের পাশে থাকতে চাই, আমরা যখন দেখি আমেরিকার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসে বলে আমরা বাংলাদেশকে পাশে পেতে চাই। আমরা যখন দেখি চায়নার রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলে আমরা বাংলাদেশের পাশে থাকতে চাই - এসব দেশ আমাদের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে পরাশক্তির ভূমিকায় আছে, তখন আমরা গর্ববোধ করি বাংলাদেশের জন্য। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এসব পরাশক্তিগুলো বাংলাদেশকে মর্যাদার চোখে দেখে। এরকম একটি দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি।’

তিনি বলেন, ‘এই করোনা মহামারির মধ্যে যখন সমগ্র পৃথিবীর অর্থনীতি অস্থির যেখানে হয়ে গেছে, সেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েনি। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েনি। গত বছর মহামারি ছিলো না, আমরা তখন প্রতি মণ্ডপে ১২ হাজার করে টাকা দিয়েছিলাম। এবার দীর্ঘ লকডাউনের পর প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপে ১৮ হাজার করে টাকা দিয়েছি।’

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাবের মোহাম্মদ শোয়াইবের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিরল উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় প্রমুখ।

এমআইআর/এডিবি