ন্যাভিগেশন মেনু

বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পী ব্যবহারে দিতে হবে এক্সট্রা ফি


বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পী ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারকে এক্সট্রা ২ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টায় স্বাধীনতার ৫০ বছর ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে টেলিপ্রেস মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড- ২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রণালয়ের নতুন এক আদেশের বিষয় জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, একটি নতুন আদেশ তথ্যমন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হয়েছে, সেটি হচ্ছে বিদেশি শিল্পী দিয়ে যদি একবার কাজ করানো হয়। তাহলে সরকারকে দুই লাখ করে টাকা এক্সট্রা দিতে হবে। ভ্যাট দিতে হবে। পাশাপাশি টেলিভিশন যারা দেখাবে, তাদেরকেও এক্সট্রা টাকা দিতে হবে।

দেশীয় বিজ্ঞাপনে দেশীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশীয় বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পীদের ব্যবহারের প্রয়োজন মনে করি না।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরাও দেখতে সুন্দর এবং স্মার্ট। বিদেশি তৃতীয় শ্রেণীর অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এনে বিজ্ঞাপন বানানোর খুব একটা প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা দেখতেও সুন্দর। বিদেশ থেকে নিয়ে আসে করতে হবে না, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা কি খারাপ দেখতে?

হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতা অর্জন করে তখন অনেকে অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এক হাজার ডলার উন্নীত করতে ১০০ বছর সময় লাগবে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবে আমাদের মাথাপিছু আয় ২৫০০ ডলারে উন্নীত।

মন্ত্রী বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশে নির্বাচনের সময় সেখানে বলা হত, বাংলাদেশ থেকে পিপীলিকার মতো মানুষ আসবে। এখন সেখানকার পত্রপত্রিকাতে লেখা হয় বাংলাদেশ থেকে মানুষ আসার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ বাংলাদেশের মানুষ আমাদের চেয়ে ভালো আছে। আর পাকিস্তানের টেলিভিশনের গণমাধ্যমে তো আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। পাকিস্তানকে সব বিষয়ের পিছনে ফেলে মানব উন্নয়ন সূচক, সামাজিক সূচকে, অর্থনৈতিক সূচক, স্বাস্থ্যসেবা সূচকসহ সব সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে।

সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের উপর গুরুত্ব দেয়। আমরা মনে করি যে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড মানুষকে পরিশীলিত করতে সহায়তা করে। নতুন প্রজন্মকে যারা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকে তারা ভিন্ন পথে যায় না, মাদকাসক্ত হয় না। তারা জঙ্গিবাদের ঝরায় না, তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হয় না। সেজন্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপকতার কোন বিকল্প নাই এবং এই কর্মকাণ্ডের তিনি শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক হলে হবে না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, আকাশ-বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্সের সিএফও মো. লুৎফর রহমান, নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান ও কবি- সাংবাদিক রাজু আলীম।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি (ট্রাব) সভাপতি সালাম মাহমুদ।