ন্যাভিগেশন মেনু

বিজয়ীর আস্থায় মমতা, আঘাত পাওয়া পা দোলালেন


নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে বিজয়ী হওয়ার আস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেননা নির্বাচনের দিনে (শুক্রবার)আঘাত পাওয়া পা দোলালেন মমতা।অবশ্য এজন্য অপেক্ষা করতে হবে ২ মে অবধি। এদিনই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী ফলাফল থোষণা করা হরে।

অপরদিকে শুক্রবার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল একটি ভিডিয়োয়। ওই ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, আঘাত পাওয়া বাঁ পা দোলাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অপরদিকে মমতার পা দোলানি দেখে বিজেপি নেতারা বিরুপ মন্তব্য ছুড়ে দিলেন।বিজেপির দাবি, নন্দীগ্রামে ভোটপ্রক্রিয়া চলাকালীন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে যখন আলোচনা করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন এই ভিডিয়োটি তোলা। 

এদিকে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে।বিরোধীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, এনিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন কমিশনের কর্তারা।

এরআগে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচনের দিন সভা করে প্রধানমন্ত্রী আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন। প্রভাবিত করছেন ভোটারদের।

এই অভিযোগই নির্বাচন কমিশনে করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর একটি অভিযোগ গিয়েছে সংযুক্ত মোর্চার তরফে। তারাও মোদির বাংলাদেশ সফর টেনেছে।

সংযুক্ত মোর্চার দাবি, বাংলাদেশের হিন্দু মন্দিরে পুজোপাঠ ও একটি সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়ে বিধি ভঙ্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এর পাশাপাশি ভোটের দিন জয়নগর ও উলুবেড়িয়ার সভায় ধর্মীয় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও করেছে তারা।

এদিকে বিরোধীদের অভিযোগ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে। সত্যিই কি বিধি ভেঙেছেন প্রধানমন্ত্রী ? নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, এব্যাপারে আইনি বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 মমতার আস্থার কারণ- ভোট দুয়ারে আসার সময় বিভিন্ন সংস্থার পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের পশ্চিমবঙ্গের মসনদে বসতে চলেছেন।

বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে- এ রাজ্যে শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মসনদ টিকিয়ে রাখবেন। কেননা সমীক্ষাও তাই বলছে। যদিও তাঁর আসন সংখ্যা কমবে।মমতাকে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে মসনদ বাঁচাতে হবে। 

ঢাকা বা কলকাতা সবার একই কথা- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে মুসলিমদের হৃদয়ে তাঁর স্থান পাকা করে নিয়েছেন। একচোটিয়া ভোট তাঁর পাল্লায়। 

তদুপরি কেন্দ্রে বিজেপি সরকার এনআরসি বাস্তবায়নে উদ্যোগী। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যে একটা ভয় ঢুকে গিয়েছে যে, যদি এ রাজ্যে  বিজেপি ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় যাওয়া বিশাল জনগোষ্ঠীকে তাঁদের ফেরত পাঠানো হবে।

এজন্য ভোটাররা শেষ মুহূর্তে মমতার তৃণমূলকে হয়তো ভোট দিতে পারেন। কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই বলে আসছেন- তাঁর রাজ্য থেকে একটা লোককেও ফেরত পাঠাতে দেবেন না।