ন্যাভিগেশন মেনু

বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা মঙ্গলবার


হিন্দু সম্প্রদায়ের জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)। মাঘ মাসের শুক্ল পঞ্চমী তিথিতে জ্ঞান ও বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতী ধরাধামে আবির্ভূত হন।

মূলত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ যেসব বাড়িতে পড়ুয়া আছে তারা প্রত্যেকেই সরস্বতী পুজা করেন। 

ওম জয় জয় দেবী চরাচর সারে। কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে। বীণা রঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমোস্তুতে। ওম সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমলোলোচনে। বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাং দেবী নমোস্তুতে। এই প্রণাম মন্ত্রে মুখরিত হবে পূজামন্ডপ।

আপাতভাবে দেখলে মনে হয় সরস্বতী হলেন বিদ্যার দেবী। কিন্তু তিনি কি শুধুই বিদ্যার দেবী? ভাগবত অনুসারে সরস্বতী হলেন ব্রহ্মার পত্নী। তিনি বাক্ দান করেন। তাই তিনি বাগদেবী। তাঁর অপর নাম বাণী বা ভারতী। তিনি ভাষা থেকে শুরু করে সব বিদ্যা দান করেন।

শাস্ত্রমতে মাঘ মাসের শুক্লপঞ্চমী তিথিতে, অভ্রআবীর, আমের মুকুল, যবের শিষ, দোয়াত কলম সহযোগে দেবীর পূজার রীতি। দেবী সরস্বতী ময়ূরবাহনা। শ্বেতশুভ্র বসনা সরস্বতী দেবীর এক হাতে বেদ, অন্য হাতে বীণা থাকে। এ জন্য তাকে বীণাপাণিও বলা হয়। তাকে ঐশ্বর্যদায়িনী, বুদ্ধিদায়িনী, জ্ঞানদায়িনী হিসাবে আরাধনা করা হয়।

সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে তারা সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। 

এ ছাড়া বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি, ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ এবং মহিলা ঐক্য পরিষদের নেতারা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশবাসীকে সরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

ভক্ত ও দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজায় অংশ নিতে অনুরোধ করেছেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি।

পূজা উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে শ্রীশ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির।

এডিবি/