ন্যাভিগেশন মেনু

বিপিএল নিয়ে তামিম-মুশফিকের চাওয়া


আইপিএলে ১৩ মৌসুম ধরেই একই দলে খেলছেন কোহলি, প্রথম ৩ মৌসুমের পর থেকে টানা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে খেলে আসছেন রোহিত শর্মা। এছাড়া সুরেশ রায়না, গৌতম গম্ভিরের মতো অনেকেই আইপিএলে খেলছে বছরের পর বছর একই দলে হয়ে।

বিপিএলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সেই সুযোগ নেই। বিপিএলের সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহকারী তামিম, কিন্তু ৭ মৌসুমে খেলেছেন তিনি ৫ ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে। ধোনিদের উদাহরণ দিয়ে তিনিই দলের ধারাবাহিকতার প্রশ্নটি তুললেন। বিপিএলেও একই দলে অন্তত ৩ বছর থাকার সুযোগ রাখা হোক।

শনিবার (০৩ মে) ইনস্টাগ্রাম লাইভে রাতে ঘণ্টাখানেক আড্ডা দিয়েছেন তামিম ও মুশফিক। হাসি-মজা, স্মৃতিচারণার পাশাপাশি দুজনের কথোপকথনে উঠে এসেছে দেশের ক্রিকেটের নানা বাস্তবতাও।

তামিম বলেন, ‘বিপিএল দারুণ টুর্নামেন্ট, অনেক কিছু শিখি আমরা, সন্দেহ নেই। কিন্তু সবচেয়ে বেশি মিস করি এখানে যেটা… আইপিএলে যেমন চেন্নাই মানেই ধোনি, মুম্বাই মানেই রোহিত। একটা দলে ৪-৫ বছর খেলতে পারলে দলটা নিজের হয়ে ওঠে, ভক্ত-সমর্থকদেরও ধারাবাহিকতা গড়ে ওঠে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানেও যদি এমন হতো, আমরা যে ৫ জন সিনিয়র আছি, যদি আমাদেরকে দল পছন্দ করার সুযোগ থাকত, কিংবা এমন নিয়ম থাকত যে এক দলে ৩ বছর অন্তত থাকতে হবে, তাহলে ভালো হতো। দল ছেড়ে দিলে অন্য কথা। কিন্তু ৩-৪ বছর একই দলে থাকলে ফ্যান বেজ গড়ে ওঠে, ক্রিকেটারের জন্য ভালো, দলের জন্য ভালো, সব মিলিয়ে দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো।’

তামিমের কথার প্রেক্ষিতে মুশফিক বলেন, ‘এখানে তো সবচেয়ে ভুক্তভোগি আমিই। প্রতি বছরই নতুন দলে খেলতে হয়েছে। বারবার নতুন করে চুক্তি হওয়াটা ক্রিকেটার, কোচ, দল, সমর্থক, সবার জন্যই অনেক চ্যালেঞ্জিং। আমাদের এখানে এখনও হোম-অ্যাওয়ে সিস্টেম গড়ে ওঠেনি। অন্তত ৭-৮ জন শীর্ষ ক্রিকেটারকে আইকন হিসেবে দল পছন্দ করার সুযোগ দিলে, বছর তিনেক এক দলে খেললে ফ্যান বেজ গড়ে ওঠে, মালিকরাও তাদের নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারে।’

কথোপথনের পরিশেষে তামিম বলেন, ‘আমি কুমিল্লায় মাত্র দুই বছর খেলেছি, দ্বিতীয় বছরেই মনে হয়েছে দলটা নিজের। সত্যি বলতে, যত কিছুই বলি, একটা দলে এক বছর খেললে, নিজের পারফরম্যান্স নিয়েই ভাবনা থাকে বেশি। লম্বা সময় খেললে, দলের ভাবনাই সবার আগে থাকবে। ধোনি-রোহিতদের জন্য কিন্তু দলকে চ্যাম্পিয়ন করাই সবকিছুর আগে থাকে।’

এমআইআর/ ওআ