ন্যাভিগেশন মেনু

বিশ্বের জন্য ইতিবাচক বার্তা নিয়ে আসছে পুনরুজ্জীবিত চীনা শহর


সম্প্রতি ব্রিটেনের ‘ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস’, রয়টার্স এবং ইএফই-সহ বিভিন্ন মিডিয়া চীনের ওপর সর্বশেষ পর্যবেক্ষণের ফল প্রকাশ করে। তাদের বিচারে ‘চীনা জনগণের জীবন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে’ এবং ‘বেইজিং ও শাংহাই পুনরায় জেগে উঠছে’। এমন কথা ইউঠে এসেছে তাদের রিপোর্টে।

চীনের মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নীতির সমন্বয়ের পর, এর কার্যকারিতা কেমন? বহির্বিশ্ব এর ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। নতুন বছরের শুরুতে, বেইজিং ও শাংহাইসহ চীনের বড় বড় শহরগুলোর পুনরায় সরগরম হয়ে ওঠাকে চীনের ইতিবাচক পুনরুদ্ধারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত হিসাবে দেখা হচ্ছে। নববর্ষের প্রাক্কালে, শাংহাইয়ের কেন্দ্র স্থলের নানচিং রোড ছিল লোকেপূর্ণ। সমগ্র চীনজুড়ে, লোকেরা স্কিইংয়ের জন্য উত্তরে এবং উষ্ণ প্রস্রবণের জন্য দক্ষিণে গেছেন। জনপ্রিয় রেস্তোঁরাগুলোর বাইরে আবার দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। রাস্তায় এবং গলিতে বসন্তকালের উষ্ণতা ফিরে এসেছে।

‘সুশৃঙ্খলভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা’, ‘জীবনী শক্তি পুনরুদ্ধার’ এবং ‘চাহিদা পুনরুদ্ধার’ এমন শব্দমালার মধ্য দিয়ে বিদেশি মিডিয়ার পর্যবেক্ষকদের রিপোর্টে চীনের অবস্থা তুলে ধরা হয়। এটি অপ্রত্যাশিত মনে হতে পারে, তবে এটি অর্থপূর্ণ।

সম্প্রতি, চীনের মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নীতির সমন্বয় হয়েছে, মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর বিগত তিন বছরে, চীন ধারাবাহিকভাবে প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনার নয়টি সংস্করণ, ২০টি অপ্টিমাইজেশন ব্যবস্থা এবং ‘নতুন দশটি ব্যবস্থা’ জারি করে। আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে নতুন ব্যবস্থা কাজে লাগানো হবে। এগুলো সবই চীনের মহামারীর বাস্তব অবস্থা অনুযায়ী নির্ধারিত পদক্ষেপ।

বস্তুত, চীন সরকার সবসময় ‘জনগণকে শীর্ষ স্থানে রাখা এবং জনগণের জীবন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’ এই ধারণা অনুসরণ করে এসেছে এবং সুনির্দিষ্ট প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নীতি মেনে চলেছে, সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অপ্টিমাইজ ও সমন্বয় করে জনগণের নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করেছে। এভাবেই আমাদের প্রাণবন্ত চীন আবার স্বরূপে আবির্ভূত হয়েছে বা হচ্ছে। - সূত্র: সিএমজি