ন্যাভিগেশন মেনু

বিশ্ব মহামারিতে ভিন্ন আবহে আজ পবিত্র হজ


‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়াল-মুলক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠতো আরাফাতের ময়দান। কিন্তু এবার আর লাখ লাখ মানুষের মুখে উচ্চারিত হবে না এই ধ্বনি। এবার মহামারি করোনার কারণে সৌদি আরবের বাইরে কোনো দেশ থেকে কেউ পবিত্র হজপালনের সুযোগ পায়নি। মাত্র দশ হাজার হজযাত্রী এবার হজপালন করছেন। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ সৌদি আরবের নাগরিক আর বাকী অংশ সৌদিতে বসবাসরত বিদেশি।

নজিরবিহীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার মধ্য দিয়ে বুধবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ফজরের পর মিনা থেকে যাবেন আরাফাতের ময়দানে। আরাফার ময়দানই হলো- হজের মূল কার্যক্রম। অবস্থান করবেন সূর্যোদয় পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার রাতে মুজদালিফায় অবস্থান করে শুক্রবার মিনায় ফিরে কোরবানির মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

ফজরের নামাজ শেষে মিনায় অবস্থানরত মুসল্লিদের গন্তব্য সেটাই। জোহরের আগেই সেখানে পৌঁছে যেতে হবে। দিনভর আরাফাত প্রান্তরে অবস্থান করে মসজিদে নামিরাহ থেকে দেওয়া খুৎবা শুনবেন তারা। এবার বাংলাসহ ১০ ভাষাতে অনূদিত হবে খুতবা। পরে জোহর ও আসরের নামাজ একই ইমামের পেছনে আদায় করা হবে।

প্রায় ১৪০০ বছর আগে এ ময়দানেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) লক্ষাধিক সাহাবিকে সামনে রেখে ঐতিহাসিক বিদায় হজের ভাষণ দেন।

সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে মিনায় ফেরার পথে মুজদালিফায় রাতে অবস্থান নেবেন হাজিরা। খোলা আকাশের নিচে মাগরিব ও এশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন। মিনায় জামারাতে শয়তানের প্রতিকৃতিতে নিক্ষেপের জন্য এখান থেকেই পাথর সংগ্রহের নিয়ম।

তবে এবার আগেই হাজীদের জীবাণুমুক্ত পাথর সরবরাহ করা হয়েছে। রাতে সেখানে অবস্থানের পর ১০ জিলহজ শুক্রবার ফজরের নামাজ শেষে সূর্যাস্তের আগেই মিনার দিকে রওনা হবেন। শুক্রবার সৌদি আরবে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। মিনায় গিয়ে জামারাতে বড় শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ ও কোরবানি করা হবে।

এডিবি/