ন্যাভিগেশন মেনু

বুড়িমারীতে পিটিয়ে-পুড়িয়ে হত্যা: খাদেমসহ আরও ৪ জনের ৩ দিনের রিমান্ড


পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননার গুজব ছড়িয়ে লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে মো. সহিদুন্নবী জুয়েলকে (৫০) পিটিয়ে হত্যা করে লাশ আগুনে পোড়ানোর ঘটনায় তিন মামলায় দ্বিতীয় ধাপে মসজিদের খাদেমসহ চারজনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন লালমনিরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফেরদৌসী বেগম।

বৃহস্পতিবার আলোচিত এ তিন মামলায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ নিয়ে মোট ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক। তাদের মধ্যে নয়জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার সুলতান যোবাইয়ের আব্দার নামে এক বন্ধুকে নিয়ে বুড়িমারী বেড়াতে আসেন জুয়েল। বিকেলে বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করেন তারা। নামাজ শেষে মসজিদের সানসেটে রাখা কোরআন শরীফ পড়ার জন্য নামাতে গেলে অসাবধানতাবশত কোরআন ও হাদিসের বই তার পায়ে পড়ে যায়। পরে তিনি তুলে চুম্বনও করেন। বিষয়টি নিয়ে জুয়েলের সঙ্গে মুয়াজ্জিনের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর আশপাশের লোকজন ছুটে এসে জুয়েল ও সুলতান যোবাইয়েরকে পাশে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের একটি কক্ষে আটকে রাখে।

পুরো বাজারে এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, কোরআন অবমাননার দায়ে দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধরা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের দরজা-জানালা ভেঙে জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে মরদেহ টেনে পাটগ্রাম বুড়িমারী মহাসড়কে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয় স্থানীয়রা। এ সময় বিক্ষুব্ধরা মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করে।

ওই ঘটনায় পাটগ্রাম থানায় নিহতের চাচাত ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার (৩১ অক্টোবর) একটি মামলা দায়ের করেন। তাছাড়াও বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে অপর মামলাটি দায়ের করেছেন। 

এস এ/ওআ