ন্যাভিগেশন মেনু

বৃন্দাবন চা-বাগানে উৎপাদিত ইয়েলো-টি নিলামেই প্রতি কেজি ১২ হাজার


মিলন রশীদ, হবিগঞ্জ থেকে:

এবার দেশের হবিগঞ্জ জেলার বৃন্দাবন চা-বাগানে উৎপাদন করা হয়েছে ‘ইয়েলো-টি’। একটি কুঁড়ি, একটি পাতা দিয়ে ইয়েলো-টি উৎপাদন করা হয়েছে। 

শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে ইয়েলো-টি উৎপাদন করলেও বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে ইয়েলো-টি উৎপাদন করছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে দেশে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার বৃন্দাবন চা বাগানে উদ্ভাবিত ইয়েলো-টি চট্টগ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে নিলামে তোলা হয়। প্রথমবারের মতো  নিলামে তোলে কর্তৃপক্ষ। প্রতি কেজি ইয়েলো চা বিক্রি হয়েছে ১২ হাজার ২০০ টাকা দরে।

বৃন্দাবন চা-বাগানের ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দীন খান জানান, ইয়েলো-টি এই প্রথম বৃন্দাবন চা-বাগানেই উৎপাদন শুরু করা হয়েছে।  সফলভাবে হোয়াইট-টি উৎপাদনের পর এবার ইয়েলো-টি উৎপাদন করা হয়েছে। 

দেশ-বিদেশে ইয়েলো চা'র ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ইয়েলো চা বাণিজ্যিকভাবে পুরো দমে উৎপাদন করা সম্ভব হলে আমাদের প্রচুর বৈদেশিক অর্থ অর্জনে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করবে।

তিনি আরও বলেন, হোয়াইট কিংবা ইয়েলো টি উৎপাদনের জন্য আলাদা কোনো গাছ রোপণ করতে হয়নি। একই গাছ থেকে শুধু প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে স্পেশাল টি উৎপাদন করা সম্ভব হবে। বৃন্দাবন চা বাগানে সাধারণ চায়ের পাশাপাশি হোয়াইট-টি ও ইয়েলো-টি ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।

এ ব্যাপারে চা গবেষক মাহমুদ হাসান প্রিন্স বলেন, চিন ও কোরিয়ার পর দেশ ইয়েলো-টি আবিষ্কার করায় বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশ নতুনভাবে নাম লেখালো। 

ইয়েলো-টির স্বাদ অন্যান্য চায়ের থেকে একদমই আলাদা। এ ধরনের চা এর আগে আমাদের দেশে কখনো উৎপাদন হয়নি। ইয়েলো-টি নতুনত্ব তৈরি করবে দেশে। এ ছাড়া অন্য চা-বাগানগুলো যদি ইয়েলো-টি উৎপাদনে এগিয়ে আসে, তবে দেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে।

হবিগঞ্জ জেলার এই বৃন্দাবন চা বাগান ইয়েলো-টি উৎপাদনের মাধ্যমে চায়ের জগতে বাংলাদেশে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।

এস এস