ন্যাভিগেশন মেনু

বৃহত্তর জৈন্তায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী


উত্তর-পূর্ব সিলেট তথা বৃহত্তর জৈন্তায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি উঠেছে। সিলেট নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে সর্বপ্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে এই দাবী উত্থাপন করেছেন বৃহত্তর জৈন্তার কিছু সচেতন নাগরিক। এই দাবী বাস্তবায়নে সিলেট এবং বৃহত্তর জৈন্তার বিভিন্ন সংগঠন, জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।

শনিবার (৪ জুলাই) বিকেল ৩টায় ‘বৃহত্তর জৈন্তাবাসী’ ব্যানারে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিলেটের কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেন। এই কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন সাংবাদিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক এহসানুল হক জসীম।

বক্তারা বলেন, বৃহত্তর জৈন্তা অত্যন্ত সমৃদ্ধ এলাকা। এ অঞ্চলের অতীত ঐতিহ্য রয়েছে। জ্ঞান-গবেষণার প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির সাথে এখানে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

তারা আরও বলেন, বৃহত্তর জৈন্তা এলাকা প্রাচীন জৈন্তিয়া রাজ্যের অংশ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি প্রাকৃতিক সম্পদের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। ফলে পেট্রোলিয়াম, পরিবেশ বিজ্ঞান, ফরেস্টি, প্রাণীবিদ্যা, পানিবিদ্যা, উদ্ভিদ বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে এখানে হাতেকলমে গবেষণার ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে। তাই, আমরা এখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি করছি।

এই কর্মসূচীর প্রধান উদ্যোক্তা এহসানুল হক জসীম বলেন, উত্তর-পূর্ব সিলেটে একটি বিশেষায়িত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী উঠিয়েছি। আমাদের দাবী উত্থাপনের সাথে সাথেই যে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়। দাবী উত্থাপন করতে হয়, বীজ বপন করতে হয়। আমরা বীজ বপন করেছি। শুরুটা এভাবেই হয়। দেখা যাবে, এই দাবী আস্তে আস্তে বড় হবে, আরো অনেকে এই দাবীতে সোচ্চার হবে, কর্মসূচী পালন করবে। এভাবে একদিন বৃহত্তর জৈন্তায় প্রতিষ্ঠিত হবে আমাদের স্বপ্নের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। গড় আয়ু পর্যন্ত বেঁচে থাকলে অবশ্যই সেই বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে পারবো। তত দিন যেন বেঁচে থাকি-- আল্লাহর কাছে এমন দোয়া করি।

তিনি এই বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জজ কোর্টের এপিপি এডভোকেট মামুন রশিদ, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়েজ আহমদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সিলেট প্রতিনিধি শুয়াইবুল ইসলাম, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম, কানাইঘাট স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আসিফ আযহার ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম চৌধুরী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ পোস্টের চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মাহবুব এ রহমান, স্থানীয় ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান, নোমান আহমদ সোহেল, নূর আহমদ ও আব্দুল বাছিত মাখন প্রমুখ।

এমআইআর/ওআ