ন্যাভিগেশন মেনু

বেগমগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় দেলোয়ারসহ ২ জনের যাবজ্জীবন


নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃঞ্চপুর গ্রামে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন দেলু ও তার সহযোগী মোহাম্মদ আলী ওরফে আবুল কালামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

একইসঙ্গে উভয় আসামীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো তিনমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (০৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ লাবলু, বাদী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন ও আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বাদল।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মামুনুর রশীদ লাভলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার দুই আসামি দেলোয়ার হোসেন দেলু ও তার সহযোগী মোহাম্মদ আলী ওরফে আবুল কালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। মাত্র ১৩ কার্যদিবসে বাদীপক্ষের ১২ জন ও আসামিপক্ষের তিনজনসহ মোট ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে স্থানীয় দেলোয়ার বাহিনী স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়। সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করেন অভিযুক্তরা। আহত ওই নারী চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে জেলা শহরে তার বোনের বাসায় পালিয়ে যান। সেখানে গিয়েও অভিযুক্তরা তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে, না হলে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন। গৃহবধূ এতে রাজি না হওয়ায় আগের ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়।

৪ অক্টোবর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর সন্ত্রাসীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়ানো ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ধর্ষণ, নির্যাতন ও পর্ণোগ্রাফি আইনে তিনটি মামলা করেন নির্যাতিতা নারী। এ ঘটনায় সেসময় সারা দেশে প্রতিবাদের ঢেউ উঠে।