ন্যাভিগেশন মেনু

বেনাপোল বন্দরে দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা


পচনশীল বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ রেখেছেন বাংলাদেশি আমদানিকারকরা। তবে অন্যান্য কাঁচামাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে।

রবিবার (৪ অক্টোবর) দেখা যায়, সারাদিন অন্যান্য কাঁচামাল আমদানি হলেও ফলবাহী কোনো ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি।

বেনাপোল বন্দর দিয়ে যে সকল পণ্য আমদানি হয়ে থাকে, তার বড় একটি অংশ রয়েছে ফল জাতীয় পঁচনশীল কাঁচামাল। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। বেনাপোল বন্দরে পৌঁছানো পর্যন্ত কিছু মালামাল পঁচে নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রতি কার্টনে শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে এক কেজি ছাড় দিয়ে আসছিলো। হঠাৎ তা বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা ফল আমদানি বন্ধ রেখেছেন।

আমদানিকারকরা জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। দেশের অন্যান্য বন্দর দিয়ে খাদ্যদ্রব্য জাতীয় কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে বেনাপোল কাস্টমসের কড়াকড়ির কারণে দীর্ঘ ১৫ বছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে কাঁচামাল আমদানি বন্ধ ছিলো। চলতি বছরের প্রথম থেকে আবারও বেনাপোল বন্দর দিয়ে কাঁচামাল আমদানি শুরু হয়।

পচনশীল পণ্যে কাস্টমস মানবিক কারণে কিছু সুবিধা দিতেন। এখন তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এপথে আমদানি সম্ভব হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা পেট্রোপল বন্দর থেকে ট্রাক ফিরিয়ে নিয়ে ভোমরাসহ অনান্য বন্দর দিয়ে আমদানি করছেন।

আমদানি পণ্যের রাজস্ব গ্রহনকারী সোনালী ব্যাংক বেনাপোল শাখার ম্যানেজার আকতার ফারুক সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে খাদ্যদ্রব্য জাতীয় কাঁচামাল থেকে বড় একটা রাজস্ব আসতো। বর্তামানে আমদানি বন্ধ থাকায় রাজস্ব ঘাটতি হবে।

বেনাপোল কাষ্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার সৈয়েদ নেয়ামুল হক জানান, বাড়তি সুবিধা না পেয়ে ব্যবসায়ীরা এপথে আমদানি করছেন না।  নিয়ম মেনে আমদানি করলে পণ্য খালাসে কোন বাঁধা নেই বলে জানান তিনি।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, প্রতিদিন ভারত থেকে ২০ থেকে ২৫ ট্রাক আপেল, আঙুর, বেদানা, কমলা, টমেটোসহ বিভিন্ন ফল আমদানি হয়ে থাকে। তবে ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীন ঝামেলায় দিনভর কোন ফলের ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি।

এডিবি/