ন্যাভিগেশন মেনু

ব্রেস্ট ইনফেকশন কি


ব্রেস্ট ইনফেকশন একটি কমন সমস্যা। আজকাল এই সমস্যাটি অধিকাংশ মায়েদের মধ্যেই দেখা যায়। তবে চিন্তিত হবার কোন কারণ নেই। আজ আমরা জানবো ব্রেস্ট ইনফেকশন কি? ও তা দূর করার উপায়।

ব্রেস্ট ইনফেকশন

ব্রেস্ট ইনফেকশন হচ্ছে স্তনের টিস্যুতে একটি সংক্রমণ যা সাধারণত দুগ্ধদানকারী মায়েদের হয়ে থাকে। এটি সাধারণত সন্তান প্রসবের পরে প্রথম ৩ মাসের মধ্যে হতে পারে এবং বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর যেকোনো সময় এই সংক্রমণটির আক্রমণ হতে পারে। এটি একটি কিংবা উভয় স্তনেই হয়ে থাকে। এছাড়াও স্তনে জোরে আঘাত পেয়ে রক্ত জমে যাওয়া, স্তনের বোঁটায় শিশু কামড়ে দিলে বা অন্য কোনো ঘা থেকে এমনটি হতে পারে।

জন্মগতভাবে যেসব নারীর স্তনের বোঁটা ভেতরের দিকে থাকে, তাদের এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তবে রোগটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ এবং স্টেফাইলোকক্কাস অরিয়াস নামক ব্যাকটেরিয়া রোগটি ঘটানোর জন্য বিশেষভাবে দায়ী।

লক্ষণ

ইনফেকশন হলে প্রাথমিকভাবে ব্যথা, ফোলাভাব, লালভাব, চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি এ রোগ হলে স্তনের ত্বক টানটান হয়ে চকচকে হয়ে যায় এবং স্পর্শ করলে তা ব্যথা উৎপন্ন হয়।

আসুন জেনে নেয়া যাক ব্রেস্ট ইনফেকশন দূর করার উপায়-

  • বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যান
  • নিপল বাবুর মুখে ভালো করে দিন
  • একটি স্তন সম্পূর্ণ ফিডিং করিয়ে তারপর অন্য স্তন বাচ্চাকে দিন
  • বাচ্চাকে রুটিন করে ফিডিং করানো চেষ্টা করুন
  • বাচ্চার ফিডিং শেষ হলে, স্তন পরিষ্কার করে ফেলুন
  • মাঝে মাঝে উভয় ব্রেস্ট মেসেজ করুন কিন্তু কিছু ব্যবহার করবেন না
  • ভালো উন্নত মানের ঢিলেঢালা পোশাক ব্যবহার করুন
  • বাঁধাকপি পাতার সাহায্যে ব্রেস্ট ইনফেকশন অনেকাংশে দূর করা সম্ভব। এই পাতায় রয়েছে সালফার যা আক্রান্ত স্থানের ফোলাভাব এবং জ্বালা দূর করে। কয়েকটি বাঁধাকপি পাতা ফ্রিজ থেকে বের করে আক্রান্ত স্তনে রাখুন।এটি আপনি যতবার ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারেন।
  • গাঁদাফুলে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল বৈশিষ্ট্য যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এটি ব্রেস্টের ফোলাভাব এবং ব্যথাও দূর করে।