ন্যাভিগেশন মেনু

ব্ল্যাক সুইট-২ জাতের বারোমাসি তরমুজের চাষ হচ্ছে নাটোরে


নাটোর সদর উপজেলায় মালচিং ও মাচা পদ্ধতিতে ব্ল্যাক সুইট-২ জাতের বারোমাসি তরমুজ চাষে সাফল্য পাচ্ছেন কৃষক।  আধুনিক কৃষি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নাটোর সদর উপজেলার মাঝদীঘা এলাকায় বারমাসি এই তরমুজের চাষ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্যান্য জাতের তরমুজের চাইতে ব্ল্যাক সুইট-২ চাষে লাভ বেশি।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের ছাতনীদিয়ার এলাকায় মাঝদীঘার কৃষক আবু তাহেরের জমিতে দেখা মেলে ব্ল্যাক সুইট-২ জাতের তরমুজ। ৫০ শতক জমিতে মালচিং ও মাচা পদ্ধতিতে আড়াই থেকে তিন মাস মেয়াদী বারোমাসি এই তরমুজ চাষ করেছেন তিনি। ইতোমধ্যেই তরমুজের আকৃতি আধা কেজি থেকে এক কেজি ওজনের হয়েছে। আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই এই তরমুজ বিক্রির উপযোগী হবে বলে আশা করছেন তিনি।

কৃষি বিভাগ জানায়, ব্ল্যাক সুইট-২ জাতের এই তরমুজ মালচিং পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে জমিতে আগাছা কম হয়, ফলে খরচও কমে। উচু ও ঢালু জমিতে ব্ল্যাক সুইট-২ জাতের তরমুজ ভালো হয়। একেকটি তরমুজের ওজন দেড় থেকে তিন কেজি পর্যন্ত হয়। তবে ব্ল্যাক সুইট-২ জাতের বীজ নাটোরে সহজলভ্য নয়। সিরাজগঞ্জ থেকে এই জাতের বীজ কৃষকদের সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া মাচা তৈরির উপকরণ কিনতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ। 

এ বিষয়ে কৃষক মো. আবু তাহের জানান, প্রতি কেজি তরমুজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এক বিঘা জমিতে তরমুজ চাষে খরচ হয় ত্রিশ হাজার থেকে পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা। উৎপাদন ও বাজার দর ভালো থাকলে বিক্রি করা যায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা।

নাটোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মেহেদুল ইসলাম জানান, স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফার জন্য ব্ল্যাক সুইট-২ জাতের তরমুজ খুবই উপযোগী। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকরা ব্ল্যাক সুইট-২ জাতের তরমুজ চাষ করে লাভবান হতে পারেন। আইসিএম ক্লাবের মাধ্যমে নির্ধারিত কৃষকদের দিয়ে ব্লাক সুইট-২ জাতের তরমুজ চাষ করানো হচ্ছে। তরমুজ খুবই সুস্বাদু একটি ফল। বছরের এই সময় বাজারে কোনও তরমুজ না থাকায় ভালো দাম পাওয়া যায়।  

কেআর/সিবি/এডিবি/