নাটোরের বড়াইগ্রামে সুদসহ আসল টাকা পরিশোধের জন্য সুদের মহাজনের চাপ সইতে না পেরে শামীম হোসেন (২৫) নামে এক যুবক আত্নহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় ইঁদুর মারার বিষাক্ত ট্যাবলেট সেবন করার পর রাতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেজ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শামীম হোসেন বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার আটুয়া মহল্লার জামাল প্রামাণিকের ছেলে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুলাল হোসেন মৃতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, প্রায় মাস ছয়েক আগে শামীম পাশের রাথুরিয়া গ্রামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে সুদ পরিশোধের শর্তে ১০ হাজার টাকা ধার নেন। কিন্তু তিনি ঠিকমতো সুদ দিতে না পারায় এক পর্যায়ে স্ত্রী-সন্তানসহ পালিয়ে ঢাকা চলে যান। সম্প্রতি লকডাউনের কারণে কাজ না থাকায় পুনরায় বাড়িতে ফিরে এলে সুদের মহাজন সুদসহ তাকে মোট ৭০ হাজার টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেন। কিন্তু এতো টাকা পরিশোধের সামর্থ্য না থাকায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন।
পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি ইঁদুর মারার বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে আত্নহত্যার চেষ্টা চালান। পরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মারা যান।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রহিম জানান, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে।
কেআর/এডিবি/
