ন্যাভিগেশন মেনু

ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দিনের ১২০তম জন্মদিন আজ


ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দিনের ১২০তম জন্মদিন আজ। ১৯০১ সালের আজকের এই দিনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ মহকুমার বলরামপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা জাফর আলী আহমদ ছিলেন তুফানগঞ্জ মহকুমা আদালতের উকিল।

কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী আব্বাসউদ্দীনই বিশ্ব দরবারে প্রথম ভাওয়াইয়া গানকে তুলে ধরেন ।

তিনি কাজী নজরুল ইসলাম, জসীম উদ্‌দীন, গোলাম মোস্তফা প্রমুখের ইসলামী ভাবধারায় রচিত গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন।

আধুনিক গান, স্বদেশি গান, ইসলামী গান, পল্লিগীতি, উর্দুগান গেয়েছেন তিনি। তবে পল্লিগীতিতে তার মৌলিকতা ও সাফল্য সবচেয়ে বেশি। গানে তার ছিল না কোনো ওস্তাদের তালিম। পরে কিছুদিন ওস্তাদ জমিরউদ্দীন খাঁর কাছে উচ্চাঙ্গসংগীত শিখেছিলেন। রংপুর ও কোচবিহার অঞ্চলের ভাওয়াইয়া গেয়ে আব্বাসউদ্দীন প্রথম সুনাম অর্জন করেন।

পরে জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি, বিচ্ছেদি, দেহতত্ত্ব, মর্সিয়া, পালাগান ইত্যাদি গেয়ে জনপ্রিয় হন। তিনি তার দরদভরা  সুরেলা কণ্ঠে পল্লিগানের সুর যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন, তা আজও অদ্বিতীয়।

তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ও কি গাড়িয়াল ভাই, নদী না যাইও রে, বাউ কুমটা বাতাসে, ধিক ধিক মইষালরেসহ অসংখ্য গান। শুধু ভাওয়াইয়াই নয় ভাটিয়ালি, মারফতি, পল্লীগীতি, জারি, সারি, মুর্শিদি, বিচ্ছেদি, দেহতত্ত্ব, মর্সিয়া, পালাগানও গেয়েছেন আব্বাস উদ্দিন।

‘আমার শিল্পী জীবনের কথা’ (১৯৬০) আব্বাসউদ্দীন রচিত একমাত্র গ্রন্থ। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি মরণোত্তর শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার ও স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে (১৯৮১) ভূষিত হন।

১৯৫৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর পল্লিগানের এই মহান সম্রাট মৃত্যুবরণ করেন। তার সন্তান ফেরদৌসী রহমান ও মুস্তাফা জামান আব্বাসীও গান গেয়ে খ্যাতি লাভ করেছেন।

এদিকে আজ নানা আয়োজনে কুড়িগ্রামে পালিত হচ্ছে আব্বাস উদ্দিনের জন্মদিন। ভাওয়াইয়া সম্রাটের জন্মদিন উপলক্ষে দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও ভাওয়াইয়া গানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ভাওয়াইয়া একাডেমি কুড়িগ্রাম।

এস এ/ওআ