ন্যাভিগেশন মেনু

ভারতীয় হাই কমিশনের কভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় ই-আইটেক কোর্স


করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিভিন্ন দিক সম্পর্কিত চারটি নতুন ই-আইটেক কোর্সের ঘোষণা করছে বাংলাদেশস্থ ভারতীয় হাই কমিশন। খুব শীঘ্রই এই কোর্সগুলো অনুষ্ঠিত হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা (ITEC) কাঠামোর আওতায় সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই চারটি নতুন ই-আইটেক কোর্স পরিচালিত হবে। কোর্সগুলির বিবরণ নিচে রয়েছে। কোর্স সম্পর্কিত বিস্তারিত রয়েছে https://itecgoi.in/e-itec.php এই ওয়েবসাইটে। অনলাইন কোর্সে অংশগ্রহণের জন্য অবশ্যই https://itecgoi.in/e-itec.php এই পোর্টালের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। কোর্স সম্পর্কিত কোন তথ্যের জন্য [email protected] এই ঠিকানায় ইমেইল করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

নিজেদের সেরা অনুশীলনগুলো বিনিময় এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে ভারতের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, কভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে ইতোমধ্যে ৬টি কোর্স পরিচালনা করেছে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (AIIMS) ও পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ এর মতো ভারতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ। 

গত ১৭ এপ্রিল ২০২০ থেকে অনলাইনে পরিচালিত এই বৈশ্বিক কোর্সগুলিতে বাংলাদেশ থেকে ৩৪৭ জন মেডিকেল পেশাজীবী অংশগ্রহণ করেছিল। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (AIIMS), ভুবনেশ্বর বাংলাদেশের জন্য বাংলা ভাষায় কভিড ১৯ পরিচালনার উপর একটি কোর্স ডিজাইন ও পরিচালনা করে।

তাছাড়া গত ১২-১৩ মে ২০২০ অনুষ্ঠিত এই কোর্সে বাংলাদেশ থেকে ১৫৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎক অংশ নিয়েছিলেন।

ভারত ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে কভিড-১৯ পরিচালনায় সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিজেদের সেরা অনুশীলনগুলো বিনিময় বিষয়ে আলোচনার জন্য ভিডিও সম্মেলন করেছেন। 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণায় ভারতের ১০ মিলিয়ন ডলার প্রাথমিক সহায়তা নিয়ে সার্ক কভিড-১৯ জরুরি তহবিল গঠিত হয়। এই তহবিলের অধীনে ৩০ হাজার  আরটি-পিসিআর টেস্ট কিট, সার্জিক্যাল মাস্ক, সার্জিকাল ল্যাটেক্স গ্লাভস,হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট এবং হেড-কভার সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সহায়তার তিনটি চালান বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করে।

বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে প্রতিকূল সময়ে বাংলাদেশের পাশে থেকেছে ভারত। কভিড-১৯ পরিচালনায় আমাদের অব্যাহত সহযোগিতা এই মহামারির সংক্রমণে সৃষ্ট পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।

২০২০ সালের ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কভিড-১৯ সংক্রমণের ফলে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। সক্ষমতা বৃদ্ধি মহামারি পরিচালনার একটি অবিচ্ছেদ্য দিক।

এডিবি/